নেইমার-এমবাপের মনোভাবে দারুণ খুশি কোচ

প্রথম শট নেবেন কিলিয়ান এমবাপে, দ্বিতীয়টি নেইমার। পিএসজি পেনাল্টি পেলে এমন ক্রমেই স্পট কিক নেওয়ার কথা তাদের। কিন্তু মোনাকোর বিপক্ষে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। পেনাল্টি পাওয়ার পর কিক নিয়েছেন নেইমার। মূলত দুই তারকা আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। আর তাতে দারুণ খুশি এ কোচ।
মোনাকোর বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই হারতে বসেছিল পিএসজি। নেইমারের পেনাল্টি গোলে কোনো মতে রক্ষা পায় দলটি। ম্যাচের বয়স তখন ৭০ মিনিট। সে সময়ে সমতায় ফেরার ফেরার এমন সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হলে হয়তো আর ম্যাচে ফেরা হতো না পার্সিয়ানদের। যে কারণে এমবাপের সঙ্গে আলোচনা করে স্পটকিক নেন নেইমার।
অথচ সপ্তাহ খানেক আগেই ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মঁপেলিয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার যখন পেনাল্টি পায় পিএসজি তখন শট নিতে এগিয়ে যান নেইমার। কিন্তু আগেই একটি পেনাল্টি থেকে শট নিয়ে মিস করা এমবাপেও চান নিতে। এ নিয়ে দুই তারকার মধ্যে তর্ক হয়। শেষপর্যন্ত যদিও পেনাল্টি মারেন নেইমারই। তবে সে ঘটনা অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করে সামাজিক মাধ্যমে।
সে ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি ক্লাবও। পুরো স্কোয়াডের উপস্থিতিতে হওয়া এক আলোচনা সভায় খেলোয়াড়দের সবাইকে এখন একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কঠোর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কোচ জানিয়ে দেন, এখন থেকে দলের প্রথম পেনাল্টি টেকার এমবাপেই। তবে দুটি পেনাল্টি পেলে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় শটটি নেবেন নেইমার।
মোনাকোর বিপক্ষে কোচের সিদ্ধান্তের বদল হলেও নিজেদের এমন সমঝোতায় দারুণ খুশি গালতিয়ের, '(স্পটকিক নেওয়ার) ক্রমটি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, প্রথমে মারবে কিলিয়ান এবং দ্বিতীয়টি নেইমার। কিন্তু ম্যাচের বাস্তবতা রয়েছে এবং সে মুহূর্তে আমি দেখেছি যে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে এবং নেইমার এটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিলিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েছে।'
দুই খেলোয়াড়ের মনোভাবের দারুণ প্রশংসা করেন এ কোচ, 'আমি এমন ব্যবহারের জন্য কিলিয়ানকে সাধুবাদ জানাই এবং তাকে ধন্যবাদ জানানোর মনোভাবের জন্য নেইমাররও প্রশংসা করেছি। তারা দুর্দান্ত খেলোয়াড় এবং কেমন অনুভব করছে তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার এটা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নেইমার তাকে জিজ্ঞাসা করেছে এবং কিলিয়ান তাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছিল।'
Comments