যেসব কারণে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেননি হালান্ড
আর্লিং হালান্ডের স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন ছিল। তবে নরওয়ের তরুণ এই স্ট্রাইকার শেষ পর্যন্ত বেছে নেন ম্যানচেস্টার সিটিকে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন তার বাবা ও এজেন্ট আলফি হালান্ড। একটি হলো করিম বেনজেমার দুর্দান্ত ফর্ম, আরেকটি কিলিয়ান এমবাপের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা।
ফরাসি অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার বেনজেমার জন্য গত মৌসুমটি কাটে স্বপ্নের মতো। রিয়ালের লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতায় সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। দুই প্রতিযোগিতাতেই গোলদাতাদের তালিকায় তার অবস্থান ছিল শীর্ষে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বেনজেমা করেন ৪৬ ম্যাচে ৪৪ গোল। সেকারণে ২০২১-২২ মৌসুমে উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি।
বেনজেমার স্বদেশি এমবাপের রিয়ালে যোগ দেওয়ার জল্পনা-কল্পনা ছিল অনেক দিন ধরে। দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তাও প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। চমক উপহার দিয়ে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেন তিনি। গত ২১ মে আসে এমবাপের নতুন চুক্তির ঘোষণা। তবে এর কয়েক দিন আগেই হালান্ডের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর কথা জানায় সিটি। এরপর গত ১ জুলাই পাঁচ বছরের চুক্তিতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে তিনি যোগ দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীদের দলে।
২২ বছর বয়সী হালান্ডকে নিয়ে 'হালান্ড: দ্য চয়েস' নামের নতুন একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস ভিয়াপ্লে। সেখানে তার বাবা আলফিকে বলতে শোনা যায়, 'আপনি আসলে রিয়াল মাদ্রিদকে না বলতে পারেন না।'
তবে লস ব্লাঙ্কোসরা কেন হালান্ডের জন্য উপযুক্ত ঠিকানা ছিল না সেটার ব্যাখ্যা দেন আলফি। প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাণ চলাকালে ম্যান সিটির হয়ে ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত খেলা এই ডিফেন্ডার বলেন, 'আমাদের মনে একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। কাদের নয় নম্বর খেলোয়াড় বা স্ট্রাইকার দরকার? ম্যানচেস্টার সিটি এই বিচারে পেয়েছে দশে দশ। তারা হচ্ছে সবচেয়ে সঠিক বিকল্প। অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদ এই বিচারে পেয়েছে পাঁচ বা ছয়। কারণ, বেনজেমা এখন দুরন্ত ছন্দে আছে। এই প্রশ্নও থাকছে, তারা এমবাপেকে দলে টানতে সমর্থ হবে?'
গত বছর ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনকে কেনার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল সিটিজেনরা। ফলে তাদের কোচ পেপ গার্দিওলা বেছে নিয়েছিলেন চমকপ্রদ কৌশল। গত মৌসুমে স্ট্রাইকারবিহীন ফরমেশন ব্যবহার করে খেলেছিল দলটি। পাশাপাশি তারা ছিল শূন্যতা পূরণের খোঁজে। তাতে সফলতা আসে ৬০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে হালান্ডকে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ছয় ম্যাচে দশ গোল করে নিজের সামর্থ্যের ছাপ রাখতে শুরু করেছেন তিনি।
Comments