নেইমার-এমবাপের দ্বন্দ্ব অবসানে মধ্যস্থতাকারী ছিলেন মেসি
ঘটনা গত ১৪ অগাস্টের। ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে মঁপেলিয়ের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। পেনাল্টি নেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের মধ্যে বেঁধেছিল তর্ক। সেই দ্বন্দ্বের অবশ্য অবসান হয়ে গেছে। আর প্রায় মাসখানেক পর জানা গেছে, দুজনের সম্পর্কের ফাটল মেরামত করতে বড় ভূমিকা ছিল লিওনেল মেসির।
আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি সাধারণত চুপচাপ থাকার জন্য পরিচিত। মাঠে বাঁ পায়ের জাদুকরী পারফরম্যান্সে তার সরব উপস্থিতি থাকলেও শারীরিক শক্তি প্রদর্শন এবং সতীর্থ বা প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথার লড়াই করার নজির তার নেই বললেই চলে। মাঠের বাইরেও একই চিত্র। নিজের মতামত বা ধারণা অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে তিনি পছন্দ করেন না। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার ও ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে মাঠেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়ানোর পর ড্রেসিং রুমে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন মেসি। বুধবার এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফরাসি গণমাধ্যম লেকিপ।
ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের ২৩তম মিনিটে পিএসজি পেয়েছিল পেনাল্টি। কিন্তু এমবাপে স্পট-কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। বিরতির কিছু সময় আগে আরেকটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ওই দফায় নেইমার শট নিতে এগিয়ে গেলে তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত নেইমারই স্পট-কিক নিয়ে বল জালে পাঠান। কিন্তু এমবাপের শরীরী ভাষায় অসন্তোষ ছিল স্পষ্ট। ওই ঘটনাটিকে পরে নাম দেওয়া হয় 'পেনাল্টি-গেট'।
লেকিপ আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করলেও মেসি অন্য দুই ফুটবলারকে কোনো উপদেশ দেননি। বরং তাদের মধ্যকার উত্তেজনা ও বিভেদ দূর করার চেষ্টা করেছিলেন। মাঝে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেও চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই মাঠে নেইমার-এমবাপের জুটির রসায়ন চোখে পড়ার মতো। যদিও কিছুদিন আগে নেইমারের সঙ্গে মাঠের বাইরের সম্পর্ককে অম্ল-মধুর হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এমবাপে।
উল্লেখ্য, এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে ১০ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট করেছেন ৩০ বছর বয়সী নেইমার। কম যাচ্ছেন না বিশ্বকাপজয়ী ২৩ বছর বয়সী এমবাপেও। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচেই ৯ গোল রয়েছে তার নামের পাশে। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসিও আছেন ছন্দে। ৯ ম্যাচে ৪ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
Comments