'এমবাপে একা সবকিছু করতে পারবে না'
দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন ইনজুরিতে। ফলে কিলিয়ান এমবাপের দিকেই তাকিয়ে ছিল ফ্রান্স। কারণ ক্লাবের হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উড়ছিলেন এ তরুণ। কিন্তু ডেনমার্কের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না সময়ের অন্যতম সেরা এ তারকা। অন্যদের সহায়তা ছাড়া এমবাপে একা সবকিছু করতে পারবেন না বলেই জানান ফরাসি কোচ দিদিয়ার দেশম।
রোববার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারে ফ্রান্স। প্রথমার্ধেই গোল দুটি হজম করে তারা। তাতে অবনমনের বড় শঙ্কায় পড়েছিল দলটি। তবে অস্ট্রিয়াকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে ক্রোয়েশিয়া হারানোয় বেঁচে যায় তারা। অবনমন হয় অস্ট্রিয়ানদের।
তবে আলোচনা এমবাপেকে নিয়েই। পিএসজির হয়ে এ মৌসুমে ৯ ম্যাচে ১০ গোল করা এ তরুণের কাছ থেকে গোল আশা করেছিলেন ফরাসি সমর্থকরা। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তার গোলেই নেশন্স লিগে একমাত্র জয়টি পায় ফ্রান্স। কিন্তু গোল-অ্যাসিস্ট কিছুই করতে পারেননি এমবাপে। এমনকি সহজ সুযোগ পেয়েও করেছেন হাতছাড়া।
তবে এমবাপের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট দেশম, 'কিলিয়ান (এমবাপে) অনেক কিছুই ভালোভাবে করেছে। মনে রাখতে হবে, তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলা কয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন সে। সবকিছু তো সে একাই করে ফেলতে পারবে না। আগের ম্যাচে সে অনেক কার্যকর ছিল, পুরো দলের মতোই। কাজে তার ফর্ম আমাকে ভাবাচ্ছে না। তাকে নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা নেই আমার। অন্যদেরও পাশে পাওয়া প্রয়োজন তার।'
অবশ্য এ ম্যাচে নিজেদের সেরা একাদশ মাঠে নামাতে পারেনি ফ্রান্স। পল পগবা, করিম বেনজেমা, জুলস কুন্দে, উগো লরিসরা ইনজুরিতে পড়ে খেলতে পারেননি। সম্পূর্ণ ফিট ছিলেন না উসমান দেম্বেলেও।
অনভিজ্ঞতার কারণেই হারতে হয়েছে বলে মনে করেন দেশম, 'অনেক সুযোগ মিলেছে আমাদের, তবে যথেষ্ট আগ্রাসী ছিলাম না আমরা। বেশ কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুলও আমরা করেছি। আমাদের এই দলটা তরুণ, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই। আজকের রাত ছিল বাস্তবতা অনুধাবনের।'
তবে সামনে বিশ্বকাপ থাকলেও এ নিয়ে চিন্তিত নন এ কোচ, 'বিশ্বকাপ নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কারণ চোটে পড়া বেশির ভাগ ফুটবলারকে তখন আমরা ফিরে পাব। তবে অবশ্যই মনে করছি না যে অন্যদের চেয়ে আমরা শক্তিশালী। আমরা জানি যে ওখানে লড়াই হবে অনেক কঠিন।'
তবে বিশ্বকাপের আগে ম্যাচটি ছিল ফ্রান্স ও ডেনমার্ক দুই দলের জন্য ড্রেস রিহার্সেলের। কারণ বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়েছে দল দুটি। কিন্তু সেখানে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পেরেছে ডেনিশরা। সমান তালে লড়াই হলেও হারতে হয় ফরাসিদের। নেশন্স লিগে দুই দলের আগের লড়াইয়ে হেরেছিল ফরাসিরা।
Comments