হালান্ডের গোলরথ, ডি ব্রুইনার রেকর্ড
গোলমুখে তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে চলা বজায় থাকল। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির বড় জয়ে বরাবরের মতো জালের ঠিকানা খুঁজে নিলেন তিনি। আর ফিল ফোডেনের গোলে সহায়তা করে দাভিদ সিলভাকে পেরিয়ে রেকর্ড গড়লেন কেভিন ডি ব্রুইনা।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল তারা। নয় ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে আসরের শিরোপাধারী সিটির পয়েন্ট ২৩। এক ম্যাচ কম খেলে ২১ পয়েন্ট পাওয়া আর্সেনাল নেমে গেছে দুই নম্বরে।
ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি করে গোল করে সিটিজেনরা। বিরতির আগে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন জোয়াও কানসেলো ও ফোডেন। বিরতির পর লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াদ মাহরেজ ও হালান্ড। অনুমিতভাবে বল দখল ও আক্রমণে প্রাধান্য দেখায় ম্যান সিটি। ৬৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের গোলমুখে ২১টি শট নিয়ে আটটি লক্ষ্যে রাখে তারা। বিপরীতে, সাউদাম্পটন গোলমুখে পাঁচটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
ম্যাচের ৩২তম মিনিটে সিটির হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ফোডেন। ডি ব্রুইনার পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে প্রতিপক্ষের এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ফুটবলের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অপটার তথ্য অনুসারে, প্রিমিয়ার লিগে সিটির জার্সিতে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড এখন ডি ব্রুইনার (৯৪)। এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ছাড়িয়ে গেলেন সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সিলভাকে (৯৩)।
বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করার পর ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে নিশানা ভেদ করেন নরওয়েজিয়ান তারকা হালান্ড। ডি-বক্সের ভেতরে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোর পাসে বাঁ পায়ের শটে তিনি গোল করেন। প্রিমিয়ার লিগে নয় ম্যাচে ১৫ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার চূড়ায় আছেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যান সিটির জার্সিতে তার ২০ গোল হয়ে গেল মাত্র ১৩ ম্যাচে।
Comments