দলকে প্রাধান্য দিয়েই ব্যালন ডি'অর বেনজেমার, মত মরিনহোর
ফুটবল দলীয় খেলা। দলের জন্য নিজেকে নিংড়ে দিলে মেলে ব্যক্তিগত অর্জনের স্বীকৃতি। করিম বেনজেমা ঠিক সে কাজটাই করেছেন বলে মনে করেছেন জোসে মরিনহো। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই পর্তুগিজ কোচের মতে, বেনজেমা নিজের জন্য নন, খেলেন দলের জন্য।
প্যারিসের শ্যাতলে থিয়েটারে সোমবার রাতে জমকালো এক অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের ব্যালন ডি'অর জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর দেওয়া এই সম্মাননা প্রথমবারের মতো জেতেন ৩৪ বছর বয়সী বেনজেমা। গত মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র ছিলেন তিনি। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে তিনি এনে দেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগার শিরোপা।
মঞ্চটা সাজানো ছিল ফরাসি ফরোয়ার্ড বেনজেমার জন্যই। গত মৌসুমে যে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি, তাতে তার ধারেকাছে ছিলেন না কেউই। ফলে ধারণা করা হচ্ছিল, এবারের ব্যালন ডি'অর উঠতে যাচ্ছে তার হাতে। প্রত্যাশিতভাবে হয়েছেও সেটাই।
বেনজেমার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বর্তমানে ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমার কোচের পদে থাকা মরিনহো। গত ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিয়ালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ফলে বেনজেমাকে খুব কাছ থেকে পরখ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ২০০৯ সালে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন এই তারকা স্ট্রাইকার।
বেনজেমাকে নিঃস্বার্থ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মরিনহো, 'করিম দারুণ এক চরিত্র, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয়। সে নিজেকে নিয়ে, ব্যালন ডি'অরকে নিয়ে মোহে আচ্ছন্ন নয়। সে বাকি সবার চেয়ে বেশি গোল করতে মুখিয়ে থাকে না।'
৫৯ বছর বয়সী এই কোচ যোগ করেছেন, 'সে কেবল দলের জন্য খেলে। আর এই যাত্রায় সে অনেক কিছুই করে বলে ব্যালন ডি'অর একটি স্বাভাবিক পরিণতি হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়, সে এমন একজন যে দলের সাফল্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।'
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে মোট ৪৬ ম্যাচ খেলে বেনজেমা গোল করেন ৪৪টি। যার মধ্যে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ১৫ বার। তার অর্জনে শেষ হয়েছে ফরাসিদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা। সবশেষ ১৯৯৮ সালে জিনেদিন জিদান দেশটির হয়ে উঁচিয়ে ধরেছিলেন ব্যালন ডি'অর। তিনিই বেনজেমার হাতে ট্রফিটি তুলে দেন।
Comments