শিরোপা দৌড়ে এগিয়ে গেল নাসির-নাঈমরা

পঞ্চম রাউন্ডে মাঠে নামার আগে টেবিলের শীর্ষে ছিল সিলেট বিভাগ। আগের দিন তারা ঢাকা বিভাগের কাছে হেরে গেলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল রংপুর বিভাগের। সে সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগায় তারা। চট্টগ্রামকে হারিয়ে শিরোপার শীর্ষে উঠে শিরোপার কাছে চলে এসেছে আকবর আলীর দল রংপুর। শেষ ম্যাচে সিলেটের সঙ্গে হার এড়াতে পারলে শিরোপা উল্লাসে মাতবে দলটি।

সাভারের বিকেএসপিতে শেষ দিনে চট্টগ্রামের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেয়নি রংপুরের বোলাররা। ৪ উইকেটে ২২২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা দলটি অলআউট হয় ২৬৩ রানে। দিনের শুরুতেই অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রবিউল হক। রবিউল ও মুশফিক হাসানের তোপে ৪১ রানের ব্যবধানে হারায় শেষ ছয়টি উইকেট। মাত্র ১ রানের লিড নিতে পারে তারা।

রংপুরের পক্ষে ৬০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান মুশফিক। রবিউল নেন ৩টি উইকেট। ২টি শিকার নাসির হোসেনের।

১ রানের লক্ষ্যে নেমে ব্যাট থেকে কোনো রান নিতে হয়নি রংপুরকে। নো বল থেকেই পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত রানটি। ফলে ১০ উইকেটের জয়ে শীর্ষে উঠে যায় রংপুর।

কক্সবাজারে অবশ্য রাজশাহীর সঙ্গে বেশ ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে ঢাকা মেট্রোকে। রাজশাহীর দেওয়া দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দলটি। নাহিদ রানার তোপে শুরুতেই রাকিন আহমেদকে হারানো মেট্রো অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায়। ৮৩ রানের জুটি গড়েন আইচ মোল্লা ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে সানজামুল ইসলাম ও নাহিসের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আর ৭৭ রান তুলতে ৭টি উইকেট হারায় দলটি। তাতে ম্যাচ জমে উঠে ছিল বেশ। কিন্তু শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ব্যাটে শেষ পর্যন্ত জয় পায় মেট্রো।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন আইচ। ৩৮ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। আবু হায়দার খেলেন হার না মানা ২০ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। ২০ রান আসে আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকেও। চট্টগ্রামের পক্ষে ৪টি উইকেট পান নাহিদ। ৩টি উইকেট নেন সানজামুল।

এর আগে সকালে আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী গুটিয়ে যায় ২৯৭ রানে। সানজামুল শেষ পর্যন্ত ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। মেট্রোর শরিফুল্লাহ নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট পান আবু হায়দার ও কাজী অনিক।   

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

1h ago