রদ্রিগো-বেনজেমা-ভিনিসিউসের ঝলক, সেমিতে রিয়াল
খেলার শুরু থেকে বিবর্ণ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শুরুতে পিছিয়ে গিয়ে শঙ্কা জাগছিল হারেরও। কিন্তু বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখে দশ জনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে পরে আর সুযোগ দেয়নি রিয়াল। করিম বেনজামা আর ভিনিসিউস জুনিয়রের দুই গোলে কোপা দেল রের সেমি ফাইনালে উঠেছে তারা।
বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল জিতেছে ৩-১ গোলে। ১৯ মিনিটে অ্যাতলেটিকোকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আলভারো মোরাতা। ৭৯ মিনিটে রদ্রিগো সমতা ফেরানোর পর অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ ও ১২০ মিনিটে বাকি দুই গোল করেন বেনজেমা আর ভিনিসিউস।
বল দখলের লড়াইতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার আগেই হকচকিয়ে যায় কার্লো আনচেলেত্তির দল। ১৯ মিনিটে গোলমুখে প্রথম শট নিয়েই সাফল্য পায় অ্যাটলেটিকো।
বক্সের সামনে থেকে বা প্রান্তে উঁচু করে বল বাড়ান কোকে। রিয়ালের রক্ষণকে ধোঁকা দিয়ে বক্সে ঢুকে যান আর্জেন্টাইন তারকা নাওহুয়েল মলিনা। তার ক্রস ধরে ফাঁকায় থাকা মোরাতা বল জড়িয়ে দেন জালে। হতাশার প্রথমার্ধে তেমন কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি রিয়াল।
বিরতির পর নেমে খেলায় ফেরানোর পরিস্থিতি পেয়েছিলেন বেনজেমা। বক্সের মুখে কাটব্যাক পেয়ে বল ধরতেই পারেননি তিনি। ৫২ মিনিটে টনি ক্রসের ক্রস থেকে ব্যাকহিলে পা লাগালে আসতে পারত গোল। ভিনিসিউস আর বেনজেমা দুজনেই তা হাতছাড়া করেন।
৫৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বেনজেমার নেয়া শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বল এসেছিল ভিনিসিউসের পায়ে। কিন্তু দ্রুত শট নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রিয়ালের টানা আক্রমণের তোড় সামলে ৭৩ মিনিটে গোল বাড়ানোর সুযোগ পায় অ্যাতলেটিকোও। কিন্তু আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের তীব্র গতির শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া।
৬৯ মিনিটে রদ্রিগোকে ফেদরিকো ভালভেরদের বদলে মাঠে নামান আনচেলেত্তি। বদলে যায় খেলার ছবি। ৭৯ মিনিটে চোখ ধাঁধানো মুহূর্ত উপহার দেন তিনি। লুকা মদ্রিচের পাস ধরে পায়ের কারিকুরিতে প্রথমে দুজনকে কাটিয়ে এগিয়ে যান। পরে প্রতিপক্ষের আরও দুই ডিফেন্ডারের বাধা পার করে দারুণ প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে রিয়াল শিবিরে স্বস্তি নিয়ে আসেন তিনি।
এই সমতা নিয়ে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে শুরুতেই ম্যাচের লাগাম হারিয়ে ফেলে অ্যাতলেটিকো। কামাভিঙ্গাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তাদের ডিফেন্ডার স্তেফান সাভিচ।
এরপর থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। পাঁচ মিনিট পরই গোল হজম করে দলটি। মার্কো আসেনসিওর পাস ধরে ভিনিসিউস শট নিতে না পারলেও বেনজেমা কোনাকুনি শটে বল জড়িয়ে দেন জালে।
অতিরিক্ত সময়ের একদম অন্তিম দিকে আরেক ব্রাজিলিয়ানের একক ঝলক দেখা মিলে। বাম দিক থেকে একা বল নিয়ে টেনে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স চিরে ছুটে যান ভিনিসিউস। বক্সের সামনে গিয়ে ডান পায়ের শটে ব্যবধান বাড়িয়ে দলকে নিয়ে যান সেমিতে।
Comments