দুই দফায় নেওয়া পেনাল্টি মিসের পর এমবাপের চোট
ম্যাচের তখন সপ্তম মিনিট। পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক লাইন ছেড়ে আগেই বেরিয়ে আসায় আরেকটি সুযোগ পেলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়বারেও হতাশ করলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। এর কয়েক মিনিট পর তিনি মাঠ ছাড়লেন চোট নিয়ে।
বুধবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানে মঁপেলিয়ের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। ম্যাচের সবগুলো গোলই আসে বিরতির পর। এমবাপের পর প্রথমার্ধেই চোট নিয়ে বেরিয়ে যান সার্জিও রামোসও। একই কারণে আগে থেকেই ছিলেন না নেইমার। তাদের অনুপস্থিতিতে ফের হোঁচট খাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীরা। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা।
ম্যাচের পর পিএসজি কোচ গালতিয়ে গণমাধ্যমকে জানান, এমবাপে ও রামোসের চোট গুরুতর কিছু নয়, 'দেখা যাক কী ঘটে। অবশ্যই তারা দুজন খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ম্যাচের বিরতির সময় যেমন দেখলাম এবং আমাদের মধ্যে যা যা কথা হয়েছে, তাতে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই।'
মেসির ফ্রি-কিকের সময় ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস। ফলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। এমবাপের স্পট-কিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেঞ্জামিন লেকোমতে। কিন্তু তিনি শট নেওয়ার আগেই লাইন ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন মঁপেলিয়ে গোলরক্ষক। ফলে আরেকটি সুযোগ মেলে এমবাপের। কিন্তু এই দফাতেও পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তার জোরালো শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়া লেকোমতের হাতে লেগে বাধা পায় পোস্টে।
ফিরতি বলেও হতাশ করেন এমবাপে। গোলপোস্ট ফাঁকা থাকলেও তার শট ছিল না লক্ষ্যেই। এরপর ২১তম মিনিটে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন।
গোলশূন্যভাবে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। যদিও ৩৪তম মিনিটে মেসি লক্ষ্যভেদ করেন, অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে আশরাফি হাকিমি বল জালে পাঠালেও একই কারণে টেকেনি। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে শেষ হয় পিএসজির অপেক্ষা। হুগো একিতিকের পাসে জাল খুঁজে নেন ফাবিয়ান রুইজ। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পরে অবদান রাখেন মেসির গোলে। ৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। ৮৯তম মিনিটে স্বাগতিকরা ব্যবধান কমানোর পর যোগ করা সময়ে ওয়ারেন জায়ারে-এমেরি স্কোরলাইন ৩-১ করেন।
দুই ম্যাচ পর লিগ ওয়ানে জয়ের দেখা পেয়েছে প্যারিসিয়ানরা। রেঁনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর রাঁসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে তারা ড্র করেছিল ১-১ ব্যবধানে। ২১ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে মার্সেই। ৪৫ পয়েন্ট পাওয়া লঁস নেমে গেছে তিনে।
Comments