দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নেওয়ার সময় চাপে ছিলেন হাভার্টজ

প্রথম শট নেওয়ার সময় দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ডি-বক্সে ঢুকে যান। রিপ্লেতে দেখা যায় চেলসির খেলোয়াড়রাই ঢুকেছিলেন আগে। দ্বিতীয় সুযোগ পেয়ে আর কোনো ভুল করেননি হাভার্টজ।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হারে রীতিমতো বিধ্বস্ত চেলসি। ঘরোয়া প্রতিযোগিতার সব আসর থেকেই এক প্রকার ছিটকে গেছে তারা। কোনো মতে টিকে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্ন। সেটাও ফিকে হয়ে আসছিল কাই হাভার্টজের পেনাল্টি মিসে। তবে ভাগ্য সঙ্গে থাকায় সেই পেনাল্টি পুনরায় মারার সুযোগ মিলে তার। তবে দ্বিতীয়বার শট নেওয়ার আগে ভীষণ চাপে ছিলেন এ জার্মান ফরোয়ার্ড।

মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায় চেলসি। প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ফলে ২-১ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেল ইংলিশ ক্লাবটি। এদিন প্রথমার্ধে রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নেন হাভার্টজ।

ম্যাচ শেষে এ জার্মান বলেন, 'গত দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য কঠিন ছিল কারণ আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি। আজ আমাদের চরিত্র দেখাতে হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগই শেষ প্রতিযোগিতা যা আমরা জিততে পারি। আমরা দেখিয়েছি যে আমরা আবার এই প্রতিযোগিতা জিততে চাই। (প্রথম শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসার পর) আমি জানি না আমি কী ভাবছিলাম কিন্তু রেফারি আমাকে এটি পুনরায় নিতে দিয়েছেন। আমি অপেক্ষা করার চেষ্টা করেছি এবং গোলরক্ষকের দিকে তাকালাম এবং দ্বিতীয়টি কিছুটা সহজ ছিল। আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আমি গোল করেছি।'

আগের দিন বেন চিলওয়েলের ক্রস ডর্টমুন্ডের মারিউস উলফের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যদিও ডি-বক্সে ঢোকার পথে শুরুতেই ছিলেন মারিউস। এরপর হাভার্টজের নেওয়া প্রথম শটটি ডানদিকের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে শট নেওয়ার সময় দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ডি-বক্সে ঢুকে যান। রিপ্লেতে দেখা যায় চেলসির খেলোয়াড়রাই ঢুকেছিলেন আগে। দ্বিতীয় সুযোগ পেয়ে আর কোনো ভুল করেননি হাভার্টজ।

প্রথম দফায় মিস করলেও দ্বিতীয় দফায় হাভার্টজ গোল করবেন তাতে নিশ্চিত ছিলেন তার সতীর্থ স্টার্লিং, 'আমি অনুশীলনে কাইকে (হাভার্টজ) প্রায়ই পেনাল্টি শট নিতে দেখেছি। প্রথমটি মিস করলেও আমি তার প্রতি সবসময় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি জানতাম সে এটা জালের ভেতরে ফেলবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago