বার্সেলোনাকে একটুও মিস করেন না পিকে

ক্লাবের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন পিকে। আর্থিক দুর্দশার সময়ে কয়েক দফা বেতন-ভাতা কমিয়েছিলেন তিনি।

ক্যারিয়ারের শুরুতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ধারে রিয়াল জারাগোজায় খেলা ছাড়া পুরোটা জুড়েই ছিলেন বার্সেলোনায়। প্রায় ১৪ বছর সময় ধরে ব্লুগ্রানাদের অনেক জয়ের সাক্ষী ছিলেন জেয়ার্দ পিকে। সেই পিকে মৌসুমের মাঝে গত নভেম্বরে হুট করেই তুলে রাখেন বুট জোড়া। এমনকি সেই বার্সেলোনাকে এখন আর একটুও মিস করেন না তিনি!

অবশ্য ফুটবল থেকে বিদায়টা খুব সুখকর হয়নি পিকের। শেষ কয়েক বছরে অনেকটাই কিউলদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। বেশ কিছু ম্যাচেই সহজ কিছু ভুলে গোল হজম করতে হয়েছিল দলকে। অথচ ক্লাবের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। আর্থিক দুর্দশার সময়ে কয়েক দফা বেতন-ভাতা কমিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি আরএসিওয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্যই করেন পিকে। বার্সেলোনাকে কতোটুকু মিস করেন জানতে চাইলে বলেন, 'মোটেও না, একটুও না। আমি খুব, খুব ভালো আছি। আমার কাছে আগের চেয়ে বেশি সময় আছে। আমি মাঝে মাঝে বার্সার (খেলা) দেখি যখন পারি, কিন্তু আমি একেবারেই মিস করি না।'

মৌসুমের মাঝে হুট করে অবসর নেওয়া নিজের মধ্যে কোনো অনুশোচনাও নেই বলে জানান সাবেক এ ডিফেন্ডার, 'এটা (অবসর নেওয়াটা) ঐচ্ছিক সিদ্ধান্ত ছিল, যদিও মনে হয় মুহূর্তের উত্তেজনায় নেওয়া হয়েছে। হয়তো এ নিয়ে ভাবার কয়েক সপ্তাহ পরে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ছিল। তবে আমি এর জন্য অনুশোচনা করি না।'

দলের অন্যতম প্রধান সিনিয়র খেলোয়াড় হলেও শেষ দিকে খেলার সুযোগ খুব একটা মিলছিল না পিকের। তারচেয়ে তরুণদের উপরই বেশি আস্থা রাখেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ। আর ক্লাব কর্তৃপক্ষও খরচ কমানোর জন্য তাকে দলে রাখতে চাইছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই অবসরই নিয়ে নেন পিকে।

'আমি বিভিন্ন কারণে ছেড়ে দিয়েছি। আমি সবসময় বলেছিলাম যে, যখন আমি উপভোগ করতে পারব না এবং নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করব না তখন আমি চলে যাব। আমি নিজেকে (বার্সেলোনায়) গুরুত্বপূর্ণ মনে করিনি যেমনটা ক্যারিয়ার জুড়ে শুনেছিলাম এবং এটা আমাকে খারাপ অনুভূতি দিয়েছে,' অবসর নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন বলেন পিকে।

Comments

The Daily Star  | English

Public medical colleges: 86 doctors, 136 students punished since August 5

Over the last two months, at least 86 physicians and 136 students in eight public medical colleges and hospitals across the country have faced different punitive actions on various allegations, including “taking a stance against” the quota reform movement.

5h ago