হালান্ডকে আটকানোর উপায় বলে দিলেন সাবেক ইন্টার ডিফেন্ডার

দল গোল দিল ৪টি। সেখানে একটি গোলও পেলেন না আর্লিং হালান্ড। রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারদের ভুগিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পারেননি থিবো কোর্তুয়া নামক দেয়াল ভাঙতে। কিন্তু ফাইনালে তো আর এই গোলরক্ষক নেই, তখন এই নরওয়েজিয়ানকে আটকাবে কে? ১৩ বছর পর আরও একটি শিরোপা জয়ের পথে ইন্টার মিলানের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ তো এই হালান্ডই।
প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটিকে পাওয়ার পর থেকেই হালান্ড নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গেছে ইন্টার শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। একাই সিটির বহু ম্যাচ জয়ের নায়ক তিনি। যে কোনো প্রতিপক্ষ যখন তখন পারেন গুঁড়িয়ে দিতে। এখন তাকে আটকানোর পথ খুঁজছে সিটিজেনরা।
কিন্তু ফাইনালে তাদেরই তো চেয়েছিল ইন্টার। ক্লাবটির সহ সভাপতি তো আগের দিন সরাসরিই বলেছেন, ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে এড়াতে চান তারা। লস ব্লাঙ্কোসদের সাফল্য গাঁথাকেই ভয় পেয়েছিলেন। তবে রিয়ালের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে যে পরিমাণ ভয়ানক হয়ে উঠেছিল সিটিজেনরা, তাতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
এমন অবস্থায় হালান্ড আটকানোর একটি উপায় বাতলে দিয়েছে ইন্টারের সাবেক ডিফেন্ডার দানিয়েল আদানি। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে এককভাবে দায়িত্ব না দিয়ে দলীয় প্রচেষ্টায় আটকানোর কথা বললেন তিনি, '(হালান্ডকে মোকাবেলা) একা একজন মানুষ দিয়ে নয়। আকের্বি রক্ষণাত্মক রিডিংয়ে খুব ভালো এবং ইনজাঘিরও তার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে, সেট আপে তার কাছ থেকে যা চান তা করতে দেন। (কিন্তু) একজন দিয়ে হালান্ডের মুখোমুখি হতে হলে খুব ভালো হতে হবে। কারণ এই নরওয়েজিয়ান যদি আপনাকে বুঝতে পারে তাহলে সে জানে কিভাবে পাল্টা পদক্ষেপে আপনাকে বোকা বানাতে হবে।'
সেমি-ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে হারিয়েছে ইন্টার। সেখানে মিলানের মূল ফরোয়ার্ড অলিভিয়ের জিরুকে আটকে রাখার কাজটা দারুণভাবেই করেছিলেন আকের্বি। কিন্তু এই ফরাসির সঙ্গে হালান্ডের পার্থক্য জেনেই ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শ দেন আদানি, 'আপনার প্রয়োজন বৈচিত্র্যময়, নন-লিনিয়ার মার্কিং। জিরুদের বিরুদ্ধে আপনি ৯০ মিনিটে পায়ে পায়ে থাকতে পারেন, কিন্তু হালান্ডের সঙ্গে আপনি পারবেন না। কখনো কখনো তাকে অনুমান করার চেষ্টা না করে নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিতে হবে, বিশেষ করে যখন আপনার পিছনের দিকে থাকবে, বল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।'
যে কোনো সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা থাকলেও সতীর্থদের উপর নির্ভরশীল হালান্ড। বিশেষকরে সিটি মিডফিল্ডারদের সঙ্গে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারলেও কাজটা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করেন এ সাবেক ইতালিয়ান ডিফেন্ডার, 'রক্ষণের সামনে মিডফিল্ডারদেরও প্রয়োজন হবে, সেটা ক্যালহানোগ্লু বা ব্রোজোভিচ যেই হোক না কেন। ডি ব্রুইনের সঙ্গে তার সতীর্থদের ফরোয়ার্ডদের মাঝে বাধা তৈরি করতে হবে প্রয়োজনে ফাউল করে আটকাতে হবে।'
Comments