মোহামেডানের এই শিরোপাই আলফাজের সেরা

বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসের সেরা তারকা কে? এ নিয়ে অনেকের নামই উঠে আসবে সামনে। তবে একমাত্র আলফাজ আহমেদই এশিয়ার মাস সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে অসংখ্য শিরোপা জেতা সেই আলফাজ এবার কোচ হিসেবে মোহামেডানকে ১০ বছর পর পাইয়ে দিলেন শিরোপার স্বাদ। আর এই শিরোপাই তার কাছে সেরা!
মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীকে টাই-ব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ৪-৪ ব্যবধানে সমতা ছিল। মোহামেডানের হয়ে একাই চারটি গোল করেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।
অথচ এদিন প্রথমার্ধেই দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল মোহামেডান। সেখানে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফেরার ছয় মিনিট পর ফের পিছিয়ে পড়ে তারা। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় আবারও। এমনকি অতিরিক্ত সময়ে লিডও পায়। সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। যেখানে মোহামেডানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক আহসান হাবিব দিপু। ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত সব সেভ দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখা গোলরক্ষক হোসেন সুজন চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন কাঁদতে কাঁদতে।
মূলত এই সকল কারণেই হয়তো এই ম্যাচ এগিয়ে রেখেছেন আলফাজ। এছাড়া এর আগে ফাইনালে আট গোল কখনোই দেখেনি দেশের ফুটবল। সেখানে আবার একাই একজন করেছেন চারটি গোল। তাও এমন একটা সময়ে যখন মোহামেডান পরিণত হয়েছে সাদামাটা একটি দলে। গত ১০ বছরে দেখেনি কোনো শিরোপার মুখ।
ম্যাচ শেষে আজকের ফাইনালকেই সেরার স্বীকৃতি দিয়ে মোহামেডান কোচ আলফাজ বলেন, 'আজকের খেলাটা মনে হয়েছে অনেক বড় কিছু অর্জন। ব্যাকফুটে থেকে ফিরে আসা, ম্যাচ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না ম্যাচ কে জিতবে। খেলোয়াড়দের কমিটম্যান্ট ছিল অসাধারণ। খেলোয়াড় হিসেবে আমি শিরোপা জিতেছি, এবার কোচ হিসেবে শিরোপা জিতলাম। আমি এ শিরোপাকেই এগিয়ে রাখব।'
আর এই জয়ে মোহামেডান হারানো সেই সকল দিন ফিরে পাবে বলেই বিশ্বাস করেন মোহামেডান কোচ, 'প্রথমার্ধের খেলা শেষে শিষ্যদের বলেছি, তোমরা মাথা ঠান্ড রেখে খেলো। শেষ মূহুর্তে গোলরক্ষক বদল করার সিদ্ধান্তটা ছিল কঠিন। ইনজুরির কারনে এটা করতে হয়েছে। আমি মনে করি এ ট্রফির মাধ্যমে মোহামেডান এগিয়ে যাবে।'
Comments