সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

হারিয়ে যেতে নয়, থাকতে এসেছি: মোরসালিন

Sheikh Morsalin
গোলের পর মোরসালিন। ফাইল ছবি

মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে দারুণ গোলে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন তরুণ শেখ মোরসালিন। বিরতির পর নেমে সৃষ্টিশীল ফুটবল দিয়ে আলো কাড়া এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বললেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে অনেক কিছু দেওয়ার প্রত্যয় নিয়েই এসেছেন তিনি।

রোববার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাঁচা-মরার ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। তিন গোলের শেষটা আসে মোরসালিনের পা থেকে। বক্সের মধ্যে বিশ্বনাথ ঘোষের পাস পেয়ে একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বা পায়ের চোখ ধাঁধানো প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে উল্লাসে মাতেন ১৯ পেরুনো মোরসালিন।

এই গোলের পরই সবার আলো পড়েছে তার উপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তরুণকে নিয়ে হচ্ছে বন্দনা। বেঙ্গালুরুর হাল স্পোর্টস গ্রাউন্ডে অনুশীলনের সময় দ্য ডেইলি স্টারকে দেখেন মানুষের এসব উচ্ছ্বাস নজরে পড়েনি তার,  'আমি জানি না সোশ্যাল মিডিয়ায় কি হচ্ছে। আমি এগুলো দেখি না। এই ব্যাপারে আমার বলারও কিছু নেই'

মালদ্বীপের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না মোরসালিন। জামাল ভূঁইয়ার বদলে দ্বিতীয়ার্ধে তাকে মাঠে নামান হ্যাভিয়ের কাবরেরা। নেমেই প্রভাব ফেলেন তিনি। এই ধারা রাখতে চান পরের ম্যাচেও,  'আমাকে দোয়া করবেন যেন পরের ম্যাচেও এমন খেলতে পারি। আমাদের পরের ম্যাচ জিততে হবে, সেই ম্যাচেই নজর দিচ্ছি।'

মোরসালিনের মতই ১০ বছর আগে মাত্র ১৮ বছর বয়েসে আলো কেড়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এসেছিলেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। আরমান মিয়ার পর তাকে ভাবা হচ্ছিল সবচেয়ে সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার। কিন্তু তার ঝলক স্থায়ী হয়নি, হারিয়ে যান ক্রমেই।

হেমন্তের প্রসঙ্গ টানতেই মোরসালিন দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন তার বেলায় এমনটা হবে না, 'আমি এখানে থাকতে এসেছি, হারিয়ে যেতে হয়। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি থাকব।'

'আমরা বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার আশা নিয়ে খেলতে এসেছি, অবশ্যই সেটাই করব।'

এবার ঘরোয়া মৌসুমে বিশেষ এক দক্ষতার জন্য নজর কাড়েন মোরসালিন। দূরপাল্লার শটে আচমকা গোলকিপারকে ভড়কে দিয়ে গোল আদায় করে নিতে বেশ পারদর্শী তিনি। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকেও এমন একটা চেষ্টা ছিল। সফল না হলেও বক্সে দূর থেকে শট মারার প্রয়াস তার বহাল থাকবে,  'আমি এই দক্ষতা ছোটবেলা থেকে উন্নত করেছি। প্রতিদিন অনুশীলনে তা করার চেষ্টা করি। আজও (রোববার) বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সেটা গোলকিপারের কাছে গিয়েছে।'

দুজনের চোট এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের স্কোয়াডে তাকে জায়গা করার সুযোগ করে দিয়েছিল। স্কোয়াডের পর নামলেন ম্যাচেও, পেয়ে গেলেন গোল। সবই আপাতত তার কাছে ঘোরের মতন,  'এত দ্রুত সুযোগ পাব কিংবা গোল করব আশা করিনি। কিন্তু আমার দিক থেকে চেষ্টার কমতি ছিল না।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago