ফিফা বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি-হালান্ড-এমবাপে
২০২৩ সালের 'দা বেস্ট ফিফা মেন্স প্লেয়ার' পুরস্কারের জন্য তিনজন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুটবলের ফিফা। সে তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, নরওয়ের আর্লিং হালান্ড এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে।
লন্ডনে আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ সালের 'দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস' অনুষ্ঠানে এবারের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এর জন্য ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মোট ১২ জন খেলোয়াড়কে প্রাথমিকভাবে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল ফিফার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। এই সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে তিনজন ফাইনালিস্টকে বেছে নেওয়া হয়েছে ফিফা সদস্য দেশগুলোর জাতীয় দলের কোচ, জাতীয় দলের অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক এবং ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সমর্থকদের দেওয়া ভোটে।
গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে ম্যানচেস্টার সিটির গোল মেশিন হালান্ডের। ঘরোয়া এবং ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অপ্রতিরোধ্য এই ফরোয়ার্ড জিতেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপ ট্রফি। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জেতাতে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।
ফিফার উল্লেখিত সময়ে ৩৩ ম্যাচে ২৮টি গোল করেছেন হালান্ড। ক্লাবের সাফল্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও জিতে নিয়েছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট। প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের খেতাবও জিতেছেন গত জুলাইয়ে ২৩ বছর বয়সে পা দেওয়া এই ফুটবলার।
২০২২ বিশ্বকাপ ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই পিএসজির হয়ে শুরু করেন এমবাপে। লিগ ওয়ানে স্ত্রাসবুরের বিপক্ষে ৯০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখেন। তার নৈপুণ্যেই ১১ বছরের মধ্যে অষ্টম লিগ ওয়ান শিরোপা ঘরে তোলে পিএসজি। ফিফার বিবেচিত সময়ে লিগে ২০ ম্যাচে গোল করেন ১৭টি। এর মধ্যে ছয় ম্যাচেই করেন নয় গোল। লিগ ওয়ানের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা দুটোই হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ৩৬ বছর বয়সেও বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে চলেছেন মেসি। ক্যারিয়ারে প্রতিটি বড় অভ্যন্তরীণ, আন্তর্জাতিক এবং ব্যক্তিগত সম্মান যেটা এই ফুটবলারকে ব্যাখ্যা করার জন্য নতুন কিছু নেই। কাতার বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পর পিএসজির লিগ শিরোপা জয়ে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
গত জুলাইয়ে জুলাইয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে যোগ দিয়েছেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে। যোগ দিয়েই ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম শিরোপা জয়ে রাখেন মুখ্য ভূমিকা। সেখানেও গোলের পর গোল করে জিতে নিয়েছেন লিগস কাপ। তাতে ৪৪ ট্রফি নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের সফলতম খেলোয়াড় বনে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
Comments