মোহামেডানকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন কিংস
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। এর তিন মিনিট পরই লিড নেয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি দুই মিনিটও। সমতায় ফেরে কিংস। এরপর শেষ দিকে আরও একটি গোল আদায় করে নেয় দলটি। ফলে দারুণ জয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা ধরে রাখল কিংস।
সোমবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারায় বসুন্ধরা কিংস। চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোল দুটি করেছেন রাকিব হোসেন ও দোরিয়েলতন গোমেজ। মোহামেডানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন এমানুয়েল সানডে।
এই জয়ে মোহামেডানকে ছুঁয়ে ফেলল কিংস। স্বাধীনতা কাপে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ছিল সাদা-কালোরা। শেষ চার আসরেই ফাইনাল খেলে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো কিংস। একই সঙ্গে মধুর প্রতিশোধ নিলো তারা। গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ জয়ের পথে সেমি-ফাইনালে কিংসকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল মোহামেডান। এবার ঠিক একই স্কোরলাইনে মোহামেডানকে হারিয়ে দিল তারা।
মোহামেডানের ফুটবল ইতিহাস বেশ বর্ণাঢ্য হলেও বর্তমানে তার সবটাই অতীত। পেশাদার যুগে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ জিততে পারেনি তারা। এমনকি শিরোপা খরাও ছিল লম্বা। গত বছর অবশ্য ফেডারেশন কাপ জিতে নিয়েছিল তারা। এর আগে তাদের সবশেষ শিরোপা ছিল ২০১৩ সালে।
আরও একটি শিরোপার আশায় এদিন শুরু থেকেই সমান তালেই খেলতে থাকে ঐতিহ্যবাহী দলটি। দারুণ খেলে কিংসও। চতুর্থ মিনিটে রফিকের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। ১০ মিনিট পর রবসন রবিনহোর বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন।৩৮ মিনিটে দোরিয়েলতনের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তবে সব নাটকীয়তা ছড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম পাঁচ মিনিটেই। ৪৮ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় কিংস। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রফিক। মোহামেডানের ফুটবলার ওমর ফারুক বাবুকে ফাউল করলে তাকে বহিষ্কার করেন রেফারি।
পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহামেডান। মুজাফরভের কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করে সানডে। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখনও বাকি। পাল্টা আক্রমণ থেকে পরের মিনিটে রবসনের শট ফেরালেও আলগা বলে ফিরতি শটে বল জালে পাঠান রাকিব। ৮৬তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় কিংস। ডানপ্রান্তে রবসনের বাড়ানো বলে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন দোরিয়েলতন।
এরপর আক্রমণের চেয়ে ম্যাচে উত্তেজনা বেশি ছড়ায় দুই দলের কথার লড়াইয়ে। হাতাহাতির মতো হয় কয়েকবারই। যে কারণে অনেকবারই হলুদ কার্ড বের করতে হয় রেফারিকে। তবে তাকে কোনো সমস্যা হয়নি কিংসের। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
Comments