অতিরিক্ত ম্যাচে ফুটবলের ক্ষতি দেখছেন এমবাপে
ক্রমেই ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্ব ফুটবলে। জাতীয় দলের খেলার পাশাপাশি বাড়ছে ক্লাব ফুটবলেও। তাতে অতিরিক্ত লোড নিতে হচ্ছে ফুটবলারদের। আর এর প্রভাব ম্যাচে পড়ছে বলে জানান পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। ফলে দর্শকরাও ভালো খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
২০১৮-১৯ মৌসুম থেকে নেশন্স লিগ চালু করে উয়েফা। মূলত প্রীতি ম্যাচগুলোকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতেই এমনটা করে সংস্থাটি। আর আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে বাড়ছে দলের সংখ্যা। ৩২ দলের বিশ্বকাপ পরিণত হতে যাচ্ছে ৪৮ দলের আসর। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে ম্যাচ।
ক্লাব ফুটবলে তো আগামী মৌসুম থেকে নতুন ফরম্যাটে মাঠে গড়াবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ৩২ দলের আসরটি পরিণত হবে ৩৬ দলের আসরে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দলকে বর্তমান সময়ের চেয়ে দুটি ম্যাচ বেশি খেলতে হবে। এছাড়া ২০২৫ সাল থেকে ৩২ দল নিয়ে বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।
সবমিলিয়ে তাই খেলোয়াড়দের চাপ বাড়ছে অনেকাংশেই। তবে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলতে কোনো আপত্তি নেই এমবাপের। কিন্তু তাতে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবেন কি-না তাতে সন্দেহ প্রকাশ করেন। ফলে ফুটবল ও দর্শকদের ক্ষতিই দেখছেন এই ফরাসি তারকা।
মার্কিন সাময়িকী 'জিকিউ'তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমবাপে বলেন, 'আমরা এনবিএ মডেলের পথে চলছি, মৌসুমে ৭০ ম্যাচ। ব্যক্তিগতভাবে আমি এত ম্যাচ খেলার বিপক্ষে নই, কিন্তু আমরা সবসময় ভালো খেলতে পারব না এবং দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব না।'
তবে এনবিএতে খেলোয়াড়দের লোড ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা অনুশীলন করানো হয় বলে জানান এই তারকা, 'এনবিএতে, খেলোয়াড়রা প্রতিটি ম্যাচ খেলে না এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিরা লোড ম্যানেজমেন্টের অনুশীলন করে। কিন্তু আমি যদি বলি: "আমি ক্লান্ত, আমি শনিবার খেলব না", তাহলে এটি ভালো হবে না।'
খেলোয়াড়, দর্শক তথা ফুটবলের ভালর জন্য শীগগিরই ইতিবাচক কিছু ভাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'যে দর্শক তার টিকিটের জন্য অর্থ প্রদান করে এবং যে মৌসুমে আপনাকে একবারই দেখতে পারে, সে নামের যোগ্য একটি পারফরম্যান্স দেখতে চায় এবং এটা বোধগম্য। আমি কাউকে কিছু বলতে চাই না। তবে সম্ভাব্য সেরা খেলা উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের একসঙ্গে ভাবতে হবে, যাতে খেলোয়াড়, দর্শক এবং কর্তৃপক্ষ এটিকে সমর্থন করতে পারে।
Comments