বদলা নিতে বিশ্বকাপ মেডেল বিক্রি করে দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলারের স্ত্রী

একজন খেলোয়াড়ের জন্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন বিশ্বকাপ জয়। আর্জেন্টিনার হয়ে কাতারে সেই স্বপ্নটা পূরণ করেছিলেন ইজেকুয়েল প্যালাসিওস। কিন্তু বড় হতাশার সম্মুখীন হয়েছে তাকে। সেই জয়ের স্মারক ধরে রাখতে পারলেন না এই আর্জেন্টাইন। কারণ তার বিশ্বকাপ জয়ের মেডেল ও ফাইনালে পরা জার্সি নিলামে বিক্রি করে দিয়েছেন তার স্ত্রী জেসিকা ফ্রিয়াস।

২০১৮ সালে প্রথম পরিচয়ের পর ২০২১ সালে ফ্রিয়াসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন লিভারকুসেনের মিডফিল্ডার প্যালাসিওস। এরপর সময়টা দারুণ কাটছিল তাদের। কিন্তু বিশ্বকাপের কিছু দিন পরই তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে ডিভোর্স চান ফ্রিয়াস। কিন্তু তাতে রাজী হননি প্যালাসিওস। তাতেই ক্ষেপে যান এই মডেল।

বিয়ের পর বুয়েনস আইরেসের উত্তরে একটি শহর টাইগ্রেতে কিস্তিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন প্যালাসিওস। কিন্তু ঝামেলার পর কিস্তি পরিশোধ বন্ধ করেন দেন তিনি। এই কারণেই বিশ্বকাপের স্মৃতিচিহ্ন বিক্রি করে দেন প্যালাসিওসের স্ত্রী। বিক্রির পর বিক্রেতার সঙ্গে সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে প্যালাসিওসের স্বাক্ষরিত জার্সির সাথে পোজ দিয়ে তার এবং ক্রেতার একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

আরও একটি ছবিতে দেখা যায় সেই লোক তার নিজের অ্যাকাউন্টে বিশ্বকাপের মেডেল দেখাচ্ছেন। সেই ছবিও শেয়ার করেন ফ্রিয়াস। তবে ঠিক কতো টাকায় তা বিক্রি করেছেন তা প্রকাশ করেননি ফ্রিয়াস। পরে আর্জেন্টাইন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এল ট্রেসকে বলেছেন যে প্যালাসিওস বাড়ির কিস্তি প্রদান বন্ধ করে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিশ্বকাপের স্মৃতি বিক্রি করেন তিনি।

আর কেন সেই অ্যাপার্টমেন্টের কিস্তি দেওয়া বন্ধ করেন প্যালাসিওস, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন ফ্রিয়াস, 'সে এই অ্যাপার্টমেন্টের জন্য অর্থ দেওয়া শেষ করতে চায় না কারণ সে জানেনা (ডিভোর্সের পর) এটি তার হবে কি-না।'

২০২৩ সালের এপ্রিলে একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্টে দাবি করেছিলেন যে তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফ্রিয়াস বলেন, 'কারণ সে আমাকে দেখিয়েছে সে আসলে কী। আমি তার সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তে তার সঙ্গে ছিলাম এবং সে আমার হাত ছেড়ে দিয়েছিল।'

এদিকে ডিভোর্সের দাবীতে অনঢ় ফ্রিয়াস। আর তা না করলে এই ফুটবলারের সংগ্রহে রাখা সকল ফুটবল জার্সি বিক্রি করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন, 'আমি চাই সে বিবাহবিচ্ছেদে স্বাক্ষর করুক। আমি তার কাছে শুধু আমার যা আছে তা চাই, শুধু জার্মানিতে থাকা বৈবাহিক সম্পদ নয়। আমি চুপ থাকা তার জন্য সুবিধাজনক। জাতীয় দল সম্পর্কে আমার জানা কিছু আছে যা আমি বলিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago