ম্যানসিটির যে ৪ ভুলে জয়সূচক গোল পায় রিয়াল

শেষ পর্যন্ত ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জয় পেলো রিয়াল মাদ্রিদ। অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েই জয় তুলে নিয়েছে দলটি। তবে ফলাফল উল্টোও হতে পারতো। দুই দুইবার লিড নিয়ে তা ধরে রাখতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। যেখানে গোলরক্ষক এদেরসন মোয়ারেস সহ পুরো রক্ষণভাগেরই দায় রয়েছে।
এদেরসন মোয়ারেসের প্রথম ভুলটি ছিল দৃষ্টিকটু। তার ভুল পাসেই সমতায় ফেরে রিয়াল । কিন্তু অন্তত ড্র করে মাঠ ছাড়তেই পারতো ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়ালের জয়সূচক গোলটি পুনরায় দেখলেই সহজে বোঝা যায়। মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে চারটি ভিন্ন মুহূর্ত ছিল, যেখানে এই গোলটি ঠেকানো সম্ভব ছিল—
১) রিকো লুইসের উদ্দেশে মাতেও কোভাচিচের পাস: মাঝমাঠ থেকে কোভাচিচ তরুণ ও তুলনামূলকভাবে অনভিজ্ঞ সতীর্থ লুইসকে একটি বাউন্সিং বল বাড়িয়ে দেন, যখন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দ্রুতগতিতে তার দিকে ধেয়ে আসছিলেন।
২) লুইসের বল দখলের চেষ্টা: রিকো লুইস সৎভাবে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। তিনি বল নিচে নামার অপেক্ষা করেন, কিন্তু ঠিক তখনই ভিনিসিয়ুস সুযোগ নিয়ে বলটি দখল করে নেন। লুইস যদি পরিস্থিতি ভালোভাবে বিচার করতেন, তাহলে হয়তো তিনি ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করে আটকে দেওয়া ভালো মনে করতেন।
৩) এদেরসনের এগিয়ে আসা: ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার কেন এগিয়ে এলেন, তা বোঝা সহজ। তবে এতে ভিনিসিয়ুসের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়। গোলপোস্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল, এবং বল ছিল বাউন্সিং অবস্থায়। ভিনিসিয়ুস ঠিকঠাকভাবে শট নিতে পারেননি, কিন্তু এদেরসন যদি পেছনে থাকতেন, তাহলে রিয়াল তারকাকে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতো।
৪) জন স্টোনস ভুল পজিশন: যখন লুজ বলের পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন, তখন জুড বেলিংহ্যাম ছিলেন জন স্টোনসের ভেতরের দিকে। এতে স্টোনসকে সহজেই সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়, কারণ বলটি দুজনের মাঝ দিয়ে যাচ্ছিল। যদি বেলিংহ্যাম বাইরের দিকে থাকতেন, তবে স্টোনসকে সরিয়ে জায়গা বানাতে হতো তাকে, যেখানে ফাউল হওয়ার ঝুঁকি থাকত।
তবে লিড নিয়ে ম্যাচ হারার নজির এদিনই প্রথম নয় সিটির জন্য। চলতি মৌসুমে বেশ কিছু ম্যাচেই বিশেষ করে বড় দলগুলো বিপক্ষে এমনই হচ্ছে। পেপ গার্দিওলা তার দলের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, তখন এটাই তার উদাহরণ। তারা একের পর এক টেকনিক্যাল ভুল করছে, যা তাদের জন্য চরম মূল্যবান হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
Comments