হকিতে পাপনের হস্তক্ষেপ চায় মোহামেডান

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ শেষ করেনি মোহামেডান

ম্যাচে তখন ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সময় বাকি ছিল ১৮ মিনিট। কিন্তু আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত না মানতে পেরে মাঠ ছেড়ে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। আর খেলতে অস্বীকৃতি জানালে আবাহনী লিমিটেডকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা। যে কারণে শিরোপা বঞ্চিত হয় সাদা-কালো শিবির। তবে এই ঘটনার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।

শুক্রবার গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়ার হকি লিগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষ দিকে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোহামেডানের দুই খেলোয়াড় দ্বীন ইসলাম ও তানভীর সিয়ামকে লাল কার্ড দেখান। লাল কার্ড দেখান আবাহনীর মোহাম্মদ নাঈমুদ্দিনকেও। এছাড়া দুই দলেরই এক খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ডও দেখান আম্পায়াররা।

সেই ঘটনায় তখন ভিডিও রেফারেল দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানায় মোহামেডান। কিন্তু আম্পায়াররা তাদের আবেদন আমলে নেননি। ফলে এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মাঠ ছেড়ে চলে যায় মোহামেডান দল। তখনই তাদের বিপক্ষে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ করেন মোহামেডানের ম্যানেজার আরিফুল হক।

আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলন করে মোহামেডানের ডিরেক্টর ইনচার্জ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, 'বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী, সফল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অতীতে হকির ক্রান্তিকালে আপনি (পাপন) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। হকির এমন খারাপ সময়ে, আমরা আশা করছি আপনি হস্তক্ষেপ করবেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।'

ফেডারেশনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিয়ে সাবেক জাতীয় কোচ প্রতাপ শঙ্কর হাজরা বলেছেন, 'ফেডারেশন একই ধরণের তিনটি ঘটনায় তিনটি ভিন্ন নিয়ম ব্যবহার করেছে। ম্যাচ সম্পূর্ণ না করলেও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব এবং আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবকে একটি করে পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল তারা। আম্পায়ারিংয়ের সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচটি স্থগিত হওয়ার দুই দিন পর তাদের ম্যাচ শেষ করে।'

অন্যদিকে মোহামেডানের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন নিয়মের প্রয়োগ দেখ বিস্মিত হাজরা, ' একই পরিস্থিতিতে মোহামেডানের আপিলের জন্য অপেক্ষা করেননি আম্পায়াররা। রিভিউ রুম থেকে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশে চূড়ান্ত বাঁশি বাজিয়ে দেন। পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতিকে চিঠি দিলেও আমরা তার কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।'

'আমরা আশা করেছিলাম যে লিগ কমিটি পরের দিন ম্যাচের বাকি অংশটুকু চালিয়ে যাবে। কারণ এমন উদাহরণ রয়েছে কিন্তু আম্পায়াররা চূড়ান্ত বাঁশি বাজিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান এবং আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। আমরা সরকারকে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বর্তমান পক্ষপাতদুষ্ট কমিটি অপসারণ করার জন্য এবং নিরপেক্ষভাবে হকি প্রতিযোগিতা পরিচালনার জন্য একটি অ্যাড-হক কমিটি নিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি, যোগ করেন হাজরা।

ন্যায়বিচার না পেলে বিদ্যমান কমিটির অধীনে কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন মোহামেডানের কর্মকর্তারা। তবে মন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

11h ago