সমালোচনা, প্রশ্নের মুখে নিউইয়র্কের পিচ

নিউইয়র্কের মাঠে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রান করতে হাঁসফাঁস করেছেন দুই দলের ব্যাটাররাই। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার খেলায় রান উঠেছে ওভারপ্রতি ছয়ের কম করে। এক ম্যাচের পরই তাই ক্রিকেটবিশ্বে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ পিচ নয়।' শ্রীলঙ্কাকে ৭৭ রানে অলআউট করে দিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য তাড়া করতে লেগেছে ১৬.২ ওভার। ম্যাচশেষে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলেছেন, 'এটি বেশ কঠিন উইকেট ছিল কিন্তু আমাদেরকে এখানে রান করার পথ খুঁজে নিতে হবে।'
সোমবার নিউইয়র্কে ধীরগতির উইকেটে অসম বাউন্স দেখা গেছে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত বাউন্স নিয়মিতই বেকায়দায় ফেলেছে ব্যাটারদের। পাশাপাশি পেসাররা সুইংয়ের সাথে সিম মুভমেন্ট পেয়েছেন লম্বা সময় ধরে। ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলা এই পিচে খেলা নিয়ে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে লিখেছেন, 'একটি নতুন ভূমিতে ক্রিকেটের সেরা পরিচিতি যে এটা তা আমি নিশ্চিত না'
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার নিজের এক্সে পোষ্ট দিয়েছেন এভাবে, '১৯৮০- এর দশকের পিচ এবং ২০২০- এর দশকের ব্যাটাররা, ভালো একটি সংযোগ হলো না।'
পরে বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা সঞ্জয় ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বলেন, 'একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য কি এটি উপযুক্ত পিচ ছিল? আমার মনে হয় না। ব্যাট-বলে ভারসাম্য থাকে এমন পিচ হতে হবে। এখানে পিচ বোলারদের পক্ষেই খুব বেশি ছিল। ব্যাটারদের জন্য মোটেই সহজ হবে না।'
নিউইয়র্কের মূল মাঠে চারটি ড্রপ-ইন পিচ রয়েছে। ড্রপ-ইন পিচগুলো তৈরি করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইডে। অ্যাডিলেইড ওভালের প্রধান কিউরটের ড্যামিয়েন হাওয়ের অধীনে ১০টি ড্রপ-ইন পিচ তৈরি করা হয়েছে। যেগুলোর ছয়টি অনুশীলনের জন্য এবং বাকি চারটি রয়েছে মূল মাঠে। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ব্যবহৃত পিচ সন্তোষজনক না হলেও বাকি পিচগুলো হয়তো ভালো আচরণ করতে পারে। কিন্তু নিউইয়র্কের মাঠের আউটফিল্ডও বড় দুশ্চিন্তার কারণ। ভোগলে যেমন লিখেছেন, 'আপনি ভিন্ন একটি ড্রপ-ইন পিচ রাখতে পারেন, হয়তো, কিন্তু আউটফিল্ড?'
নাসাউ কাউন্টির বালুকাময় আউটফিল্ড বেশ ধীরগতির। উপর থেকে পড়ে বল মাঠে আটকে যায় এমন অবস্থা। এর সঙ্গে ফিল্ডারদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ এই আউটফিল্ড। নিউইয়র্কের পিচের সঙ্গে আউটফিল্ডও তাই ভাবাবে দলগুলোকে।
Comments