অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড বদলানোর সুযোগই পেল না ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজ মহাদেশের প্রতিপক্ষের বিপরীতে জয়ের স্বাদ কেমন তা অজানা ইংল্যান্ডের। কোনো ইউরোপিয়ান দেশকে এখনও হারাতে পারেনি তারা। নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের পর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও অক্ষত থাকল সেই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড। সেটা বদলানোর সুযোগই মিলল না জস বাটলারের দলের। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেল দুই প্রতিবেশীর লড়াই।
মঙ্গলবার বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টস জিতে স্কটল্যান্ড আগে ব্যাট করে। কয়েক দফা বৃষ্টির হানায় ১০ ওভার খেলার সুযোগ হয় তাদের। মাইকেল জোনস (৩০ বলে ৪৫ রান) ও জর্জ মানসির (৩১ বলে ৪১ রান) অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলটি স্কোরবোর্ডে জমা করে বিনা উইকেটে ৯০ রান। এরপর ডিএলএস পদ্ধতিতে ইংলিশদের সামনে দাঁড়ায় ১০৯ রানের লক্ষ্য। এটা তাড়া করে সফল হওয়া পরিস্থিতির বিবেচনায় চ্যালেঞ্জিং ছিল তাদের জন্য। কিন্তু স্কটিশদের ইনিংসের শেষদিকে ফের নামা বেরসিক বৃষ্টির কারণে খেলা আর শুরুই হতে পারেনি।
ইউরোপ মহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলে জয়হীন থাকল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তিনটি হারের সঙ্গে দুটি ম্যাচ হয়েছে পণ্ড। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুবার হেরেছিল তারা ২০০৯ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালের আসরের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও সবশেষ ২০২২ সালের আসরে থ্রি লায়ন্সরা পরাস্ত হয়েছিল।
পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ার পর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার বলেছেন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করলেও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তারা, 'আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করে এই ম্যাচে নেমেছিলাম আমরা। অবশ্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ আশা করেছিলাম। কোনো খেলাই সহজ নয়। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর সবার জন্যই এটা (ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া) হতাশাজনক, দুই দল ও দর্শকদের জন্য।'
খেলা পণ্ড হওয়ায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি করে পয়েন্ট। ২ পয়েন্ট নিয়ে 'বি' গ্রুপের শীর্ষে আপাতত অবস্থান করছে নামিবিয়া। গতকাল সোমবার টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে গড়ানো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তারা হারায় ওমানকে। এই গ্রুপের আরেক দল অস্ট্রেলিয়া এখনও কোনো ম্যাচ খেলেনি।
Comments