ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রনি তালুকদারের রেকর্ড
আশিকুর জামানের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে টানা চারটি চার মারলেন রনি তালুকদার। যার তৃতীয়টি মেরে পূরণ করেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। তাতে নতুন এক রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন এ ওপেনার।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বিধ্বংসী এ ইনিংসটি খেলেন রনি। মাত্র ১৯ বলে পূরণ করেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন খুশদিল শাহর বলে। এগিয়ে গিয়ে চালাতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। ৩১ বলের ইনিংসে খেলেছেন ১১টি চার ও ১টি ছক্কা।
রনির ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে ১৭ রানের বড় সংগ্রহ করেছে রংপুর রাইডার্স। অথচ এই মাঠেই দিনের প্রথম ম্যাচটি ছিল একেবারের ম্যাড়মেড়ে। আগে ব্যাট করে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে মাত্র ৯০ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি করলেও সামগ্রিকভাবে বিপিএলে রেকর্ডটি সুনীল নারিনের। ২০২২ সালের গত বিপিএলেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে এই ক্যারিবিয়ান তারকা মাত্র ১৩ বলে করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি।
তবে টি-টোয়েন্টিতে এরচেয়েও দ্রুত ফিফটি করার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের। সেটা ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি আসরে। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন শুভাগত হোম চৌধুরী।
১৯ বলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ফিফটি রয়েছে আরও একটি। ২০১৩ সালে টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে ১৯ বলে ফিফটি করে ছিলেন মুমিনুল হক।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি।
Comments