আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা ছাড়েননি রনি

আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে দেশের ক্রিকেটে বরাবরই নামডাক রনির। ধারাবাহিকতার ঘাটতি থাকলেও কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের জন্য তিনি আদর্শ ব্যাটার। বিপিএলের প্রথম দিনেই সেই পরিচয় দেখিয়ে আলোটা নিজের দিকে কাড়লেন রনি।
Rony Talukdar
ম্যাচ সেরা রনি তালুকদার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রনি তালুকদারকে কিছুটা দুর্ভাগাই বলা যায়। অন্যদের মতো এতটা সুযোগ পাননি তিনি। ৮ বছর আগে সেই ২০১৫ সালে কেবল মাত্র একটা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার স্বাদ পেয়েছিলেন। এরপর আর ডাক পড়েনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঝেমাঝে ঝলক দেখালেও তা পড়ে গেছে আড়ালে। বয়স ত্রিশের কোটা পার হয়ে গেছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই বয়সে অনেকের ভেতর ভর করে হাল ছেড়ে দেওয়ার গান। এই ডানহাতি অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা এখনো ছাড়ছেন না।

আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে দেশের ক্রিকেটে বরাবরই নামডাক রনির। ধারাবাহিকতার ঘাটতি থাকলেও কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের জন্য তিনি আদর্শ ব্যাটার। বিপিএলের প্রথম দিনেই সেই পরিচয় দেখিয়ে আলোটা নিজের দিকে কাড়লেন রনি।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর নেমে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বোলারদের এলোমেলো করে দেন রনি। মাত্র ১৯ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে যা দ্রুততম।  ১১ চার, ১ ছক্কায় দুইশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৩১ বলে করে যান ৬৭ রান। রংপুর রাইডারের ৩৪ রানের জয়ের কারিগর হয়ে ম্যাচ সেরাও তিনি।

এসব মঞ্চে আগ্রাসী ফিফটি আগেও করেছেন, ম্যাচের মোড় ঘোরানো ইনিংস আছে অনেকগুলো। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলে পরের চাওয়াটা থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। রনি যেমন অ্যাপ্রোচে খেলেন তেমন ব্যাটারের অভাব বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলেও।

রংপুরকে ম্যাচ জিতিয়ে আসার পর জানালেন তার চোখও সেই পর্যন্ত এখনো আছে, 'আন্তর্জাতিক ভাবনাটা...এখনো তো আমাদের এতটাও বয়স হয়ে যায়নি যে সেটা আর চিন্তা করব না (ফেরা)। অবশ্যই আমি চিন্তা করি, সেটা আমার মাথায় আছে। ওই জায়গায় খেলতে হলে আমাকে এই লিগগুলো ভালো খেলতে হবে। সেটা আমিও জানি, আপনারাও জানেন। আমি চেষ্টা করছি এই লিগগুলো ভাল করে শেষ করতে পারি।'

২০১৪-২০১৫ ঘরোয়া মৌসুমে রান বন্যা বইয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন রনি। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটা টি-টোয়েন্টিতে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওপেনার রনিকে সেদিন নামানো হয়েছিল সাত নম্বরে। সেই ম্যাচে ২১ রান করার পর জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায় তার। টি-টোয়েন্টিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেককে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলেও রনির কথা আর নির্বাচকদের নজরে আসেনি। পারফরম্যান্সের অধারাবাহিকতা আর ফিটনেস সমস্যাতেও তার কিছুটা সময় মিইয়ে যায়।

৩২ পেরুনো ব্যাটার এবার রংপুর দলে মেরে খেলার স্বাধীনতা পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে চান, আবার ফিরতে চান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায়,  'আমার দল আমাকে পুরো স্বাধীনতা দিয়েছে। আমার কোচ, অধিনায়ক আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে যাতে পাওয়ার প্লে আমি আমার মতো করে খেলতে পারি। দোয়া করবেন পুরো লিগ ভালোভাবে খেলতে পারি, প্রতিটা ম্যাচ ভাল করতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago