সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে হারাল বরিশাল

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাঁকালেন অপরাজিত আগ্রাসী ফিফটি। তার কাঁধে চেপে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেল ফরচুন বরিশাল। এরপর আশা জাগালেও লক্ষ্যের নাগাল পাওয়া হলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এবারের বিপিএলে হারের বৃত্তে বন্দি থাকার ধারা অব্যাহত থাকল তাদের।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাঁকালেন অপরাজিত আগ্রাসী ফিফটি। তার কাঁধে চেপে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেল ফরচুন বরিশাল। এরপর আশা জাগালেও লক্ষ্যের নাগাল পাওয়া হলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এবারের বিপিএলে হারের বৃত্তে বন্দি থাকার ধারা অব্যাহত থাকল তাদের।

শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২ রানে জিতেছে বরিশাল। আসরে চার ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান করে তারা। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১৬৫ রান করতে পারে কুমিল্লা। আসরে তিন ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় হার।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল কুমিল্লা। লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ম্যাচ শুরু হওয়ার পৌনে এক ঘণ্টা আগে তাকে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে আনে দলটি। তবে খুব বেশি প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। আরও একটি হাঁকাতে গিয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বির বল আকাশে তুলে আউট হন ব্যক্তিগত ১৮ রানে। ভাঙে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি।

থিতু হওয়ার পর লিটন শিকার হন রানআউটের। ২৬ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস চড়াও হয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ওপর। তবে ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। ১৫ বলে ২৮ রান করে তিনি চতুরঙ্গ ডি সিলভার শিকার হন। চ্যাডউইক ওয়ালটন হাত খুলতে পারেননি। ১৬ বলে ১৪ রান করে সাকিবের বলে সীমানার কাছে ক্যাচ দেন তিনি।

দলীয় ১০০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কুমিল্লা। তৃতীয় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে বিদায় নেন জাকের আলি অনিক। ইফতিখার আহমেদের আবেদনে মাঠের আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। তখন তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন জাকের। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায়, বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে আউটের সিদ্ধান্ত দেন তৃতীয় আম্পায়ারও।

এরপরও চেষ্টা চালিয়েছিলেন খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ষষ্ঠ উইকেটে তারা যোগ করেন ৫৪ রান। কিন্তু জয়ের বন্দরের পৌঁছানো হয়নি তাদের। ১৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ২৭ রান করে মোসাদ্দেক বোল্ড হন করিম জানাতের বলে। খুশদিল অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। ২৭ বল মোকাবিলায় ১টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরিশালের ওপেনিং জুটি ভাঙে দলীয় ২৬ রানে। তানভির ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ লংঅনে ধরা পড়েন লিটনের হাতে। তিন নম্বরে নেমে হাত খুলে খেলার চেষ্টা চালান চতুরঙ্গ। ২টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ১২ বলে ২১ রান করেছিলেন। তবে ইনিংস টানতে পারেননি। একই দশা আরেক ওপেনার ওপেনার এনামুল হক বিজয়েরও। ২০ বলে ২০ রান করে বোল্ড হয়ে যান খুশদিল শাহর বলে।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব। ইব্রাহীম জাদরানকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন। এরপর ইফতেখারের সঙ্গে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বরিশাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৪৫ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। ইব্রাহিমের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।

চলতি আসরে প্রথম বারের মতো দলে সুযোগ পেয়েই কুমিল্লার সেরা বোলার তানভির। ৩৩ রানের খরচায় পান ৪টি উইকেট।

Comments