ফ্লেমিং-মরগান-ডাসেনদের কাতারে হৃদয়
অভিষেক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি দেশের ক্রিকেটারদের কেউ। পাঁচ নম্বরে নামা ব্যাটারদের মধ্যে এ কীর্তি নেই ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসেই। নতুন এক বিশ্বরেকর্ডের সামনে ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু পারলেন না তিনি। আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইন্টিজে। আক্ষেপের এক ইনিংসে স্টিফেন ফ্লেমিং, ইয়ান মরগান, ফন ডার ডাসেনদের কাতারে নাম লেখালেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দেশের ১৪০তম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয় হৃদয়ের। আর প্রথম ম্যাচেই ছুঁতে পারতেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। কিন্তু ৯২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ২২ বছর বয়সী এ তরুণ। নার্ভাস নাইন্টিজে অভিষেক ম্যাচে আটকে যাওয়া সপ্তম খেলোয়াড় হৃদয়।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং (৯০) প্রথমবার অভিষেক ওয়ানডেতে নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হন। এরপর ইংল্যান্ডের (আয়ারল্যান্ডের হয়ে অভিষেক) ইয়ন মরগান (৯৯), দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল জ্যাকস (৯৪), আরব আমিরাতের স্বপ্নিল প্যাটেল (৯৯*), দক্ষিণ আফ্রিকার ফন ডার ডাসেন (৯৩) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামারাহ ব্রুকস (৯৩) তাদের অভিষেক ম্যাচে তিন অঙ্কের কাছে গিয়েও পারেননি। এরমধ্যে অবশ্য স্বপ্নিল ছিলেন অপরাজিত।
তবে দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন হৃদয়। এর আগে দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে হাফসেঞ্চুরি করেন ফরহাদ রেজা। ২০০৬ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ২০১১ সালে আগস্টে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন নাসির।
এদিন ইনিংসের ১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন হৃদয়। নিজের দ্বিতীয় বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে চার মেরে নিজের ইনিংসের সূচনা করেন তিনি। এরপর একে একে খেলতে থাকেন অসাধারণ ইনিংস। হিউমের করা ৩৬তম ওভারে সুইপার কভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন ফিফটি। সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। তবে হিউমের স্লোয়ারে টাইমিংয়ে হেরফের করে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এদিন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অসাধারণ চতুর্থ উইকেটে ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৯ বলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তাতেই নিজেদের রেকর্ড পুঁজির ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩৩৮ রান করে দলটি। যা এ সংস্করণে নিজেদের সর্বোচ্চ ইনিংস।
Comments