'চেনা কন্ডিশনে' বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় আয়ারল্যান্ড

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চৈত্রের এ সময়েও যখন গরমে জবুথবু হওয়ার কথা, সেখানে সিলেটে টের পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ। সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে আবার কখনো গুঁড়িগুঁড়ি। আর এ কন্ডিশন অনেকটাই পরিচিত মনে হচ্ছে আইরিশদের। আর এমনটা অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পেতে পারে সফরকারী আয়ারল্যান্ড দল।

আগের দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে আগামীকাল সোমবার জয়ের বিকল্প নেই আইরিশদের সামনে। তার আগে ভাগ্যের ছোঁয়া পাওয়ার আভাস মিলছে তাদের। টানা বৃষ্টিতে সিলেটের কন্ডিশনে পেতে যাচ্ছে নিজ দেশের ছায়া।

প্রায় নিয়মিত বৃষ্টি, কনকনে শীত আর ঠাণ্ডা বাতাস আয়ারল্যান্ডের চিরাচরিত চিত্র। প্রচণ্ড গরমের সময়ের থাকে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এমন কন্ডিশনে বিধ্বংসী হয়ে ওঠে দলটি। তাদের কন্ডিশন থেকে এর আগে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি টাইগাররা। সিলেটের কন্ডিশন যদি রোববারের মতোই থাকে তাহলে উল্টো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে টাইগাররা জন্য।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আগামীকালও থাকতে পারে একই রকম পরিস্থিতি। তাই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে আশার কথাই শোনালেন আইরিশ কোচ হেনরিক মালান, 'এটা (কন্ডিশন) অনেকটা আমাদের কন্ডিশনের মতো, তাই না? আশা করি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এবং আশা করি এটা (বল) এদিক ওদিক মুভ করবে।'

আয়ারল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ পেস নির্ভর। ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে জ্বলে উঠতে পারেন তাদের পেসাররা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পেস আক্রমণে দারুণ করছে বাংলাদেশও। আগের দিনই রেকর্ড জয়ে বড় ভূমিকা ছিল পেসারদের। আইরিশদের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন তাসকিন-ইবাদতরাই। তাই আইরিশ পেসারদের মতো বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন তারাও।

মালানের ভাবনায় রয়েছে তাসকিন-ইবাদতরাও, 'দেখেন, বাংলাদেশেরও তিনজন মানসম্পন্ন সিমার আছে, সেটার দিকেও তাকাতে হবে। গত রাতে তারা তুলে ধরেছে যে তারা খুব ভালো অলরাউন্ড দল হয়ে উঠেছে। এখন আর শুধু স্পিন খেলানো নয়। তাদের দারুণ একটি পেস আক্রমণভাগ রয়েছে।'

তবে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি থাকলে বাড়তি সুবিধা পাবেন তা জোর দিয়েই বললেন আইরিশ কোচ, 'একটু মেঘলা ও বৃষ্টি হলে আমাদের জন্য একটু বেশিই আরামদায়ক হবে। আপনার সামনে যা আছে আমাদের খেলতে হবে, আমরা বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Jamuna Bridge tailback returns as Eid holidaymakers heading back

The traffic jam, which began around midnight, continued to spread and covered at least 20 kilometres on both sides of the bridge by this morning

1h ago