তামিম-সাকিবের পর ৭ হাজারে মুশফিক

সাত হাজারি ক্লাবে ঢুকতে ২৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। তবে ইনিংস খেলেছেন ২২৯টি। সেখানে ৩৬.৬৫ গড়ে এ করেছেন তিনি। এদিনের ফিফটি নিয়ে ওয়ানডেতে ৪৪টি ফিফটি হলো মুশফিকের। সেঞ্চুরি রয়েছে ৮টি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচেই ওয়ানডে সংস্করণে সাত হাজারি ক্লাবে ঢুকেছিলেন সাকিব আল হাসান। এক ম্যাচ পর এবার তার সঙ্গী হলেন মুশফিকুর রহিমও। দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে সাত হাজার কিংবা তার বেশি রান করলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। সবার এ ক্লাবে ঢুকেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামার আগে সাত হাজার রান থেকে ৫৫ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। কার্টিস ক্যাম্ফারের করা ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক বাউন্ডারি মেরে সাত হাজার রান পূরণ করেন তিনি।

নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর ৩৪তম ওভারে মাঠে নামেন মুশফিক। মাঠে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। সাত হাজারে পৌঁছানোর আগের ওভারেই মারেন একটি ছক্কা সহ তিনটি বাউন্ডারি।

সাত হাজারি ক্লাবে ঢুকতে ২৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। তবে ইনিংস খেলেছেন ২২৯টি। সেখানে ৩৬.৬৫ গড়ে এ করেছেন তিনি। এদিনের ফিফটি নিয়ে ওয়ানডেতে ৪৪টি ফিফটি হলো মুশফিকের। সেঞ্চুরি রয়েছে ৮টি।

এ ক্লাবে দ্রুত পৌঁছেছিলেন তামিম। ২০৪ ইনিংস খেলে সাত হাজার রান করেন তিনি। এই ক্লাবে ঢুকতে তারচেয়ে ২৫ ইনিংস বেশি খেলতে হলো মুশফিককে। আর সাকিবের লেগেছিল ২১৬ ইনিংস। সবার আগে সাত হাজারে পৌঁছানো তামিম ছাড়িয়ে গেছেন আট হাজার রানের গণ্ডিও। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে ২৩৩ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ১৬৯ রান তার।

২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মুশফিকের। ওয়ানডে সংস্করণে অভিষেক অবশ্য পরের বছর হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ১৭ বছরের দীর্ঘ পথচলা তিন সংস্করণের প্রায় ১৪ হাজার রান করেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

7h ago