ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলে মেসিকে দেখতে কাতার যাত্রা আর্জেন্টাইনদের

আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে সবখানেই। ভক্ত সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবলার সবাই মেতেছেন গৌরবময় এই আসরের পরিকল্পনায়। মাঠে উপস্থিত থেকে প্রিয় দলকে সমর্থন যোগাতে চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না ভক্তরা। লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনা ভক্তরাও স্থাপন করছেন ভালোবাসার নজির, নিজেদের ভবিষ্যতের চিন্তা না করে কাতার পাড়ি জমাচ্ছেন তারা। কেউ ভাঙছেন দীর্ঘদিনের সঞ্চয়, কাউকে বাকি জীবন চলতে হবে ভাড়া দিয়ে।

আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে সবখানেই। ভক্ত সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবলার সবাই মেতেছেন গৌরবময় এই আসরের পরিকল্পনায়। মাঠে উপস্থিত থেকে প্রিয় দলকে সমর্থন যোগাতে চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না ভক্তরা। লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনা ভক্তরাও স্থাপন করছেন ভালোবাসার নজির, নিজেদের ভবিষ্যতের চিন্তা না করে কাতার পাড়ি জমাচ্ছেন তারা। কেউ ভাঙছেন দীর্ঘদিনের সঞ্চয়, কাউকে বাকি জীবন চলতে হবে ভাড়া দিয়ে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। আর্জেন্টিনার অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। ধীরগতির অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও বিদেশ ভ্রমণের বাড়তি ব্যয় কোনকিছুই আটকাতে পারছে না ফুটবল পাগল আলবিসেলেস্তে ভক্তদের। তাদেরই একজন ৩৯ বছর বয়সী এমিলিয়ানো মাত্রাঙ্গোলো। নিজের থাকার জন্য বাড়ি না কিনে কাতার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

দলবেঁধে কাতার যাত্রার আগে প্রায় ৩০০ আর্জেন্টাইন সমর্থকদের একটি বারবিকিউ পার্টিতে মাত্রাঙ্গোলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'এটা চার বছরের সঞ্চয়, প্রতি মাসে কিছু অর্থ জমিয়ে রাখা এই স্বপ্ন (বিশ্বকাপ) পূরণ করার জন্য। আপনি গাড়ি অথবা বাড়ি ক্রয়ের মতো কাজগুলো বন্ধ রাখেন এর জন্য। এটা একটা স্বপ্ন, একটা মোহ। অনেকে বলবে দেখ সে একটা বাড়ির ৫% না কিনে কাতার যাওয়ার জন্য অর্থগুলো খরচ করছে। আমি নিশ্চিত (একটি ঘর) দারুণ হবে কিন্তু আমি বিশ্বকাপেই যাচ্ছি।'

মাত্রাঙ্গোলোর মতো আরও এক আর্জেন্টাইন ৩২ বছর বয়সী জোনাথান লুনা। আকাশচুম্বী অর্থ খরচ করে বিশ্বকাপ দেখতে গেলে দেশে ফেরার পর তার ওপর বিপদ নামতে পারে জেনেও পিছপা হচ্ছেন না তিনি, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে আর্জেন্টিনা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে প্রতিমাসেই সবকিছুর দাম বাড়ছে। কিন্তু এক রাতে আমি বসে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি বিশ্বকাপে যাব কারণ আমি জাতীয় দলটাকে ভালোবাসি। আর্জেন্টিনায় আমি সর্বত্রই তাদের অনুসরণ করি। এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ (যাত্রা) ও যখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার চোখে পানি চলে এসেছিল।

'আমি জানি যখন আমি ফেরত আসব আমার সঙ্গে জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতিগুলো থাকবে। হতে পারে আমি আমার পুরা জীবন ভাড়া দিয়ে চললাম কিন্তু আমি এসব নিয়ে চিন্তিত নই দলকে সমর্থন যোগাতে আমাদের যেতেই হবে।'

গত বছর আর্জেন্টিনার কোপাজয় বাড়তি পারদ যোগ করেছে সমর্থকদের প্রত্যাশায়। বিশ্বকাপের আগে দারুণ ছন্দে গোটা দল, টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বমঞ্চে নামবে তারা। এদিকে ৩৫ বছর বয়সী মেসির হতে পারে এটাই শেষ বিশ্বকাপ। ফলে বুট তুলে রাখার আগে সতীর্থ থেকে শুরু করে ভক্ত সকলেই একবার অন্তত ক্ষুদে জাদুকরের হাতে দেখতে যান ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার ট্রফি। আর তার জন্য তারা বাজি রাখতে প্রস্তুত যেকোনো কিছুই।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago