কাতার বিশ্বকাপে ৬০০০ উচ্ছৃঙ্খল ভক্তকে নিষিদ্ধ করল আর্জেন্টিনা

বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে সমর্থকদের আবেগ থাকে কিছুটা বেশিই। তবে কিছু ভক্ত রয়েছেন যারা কারণ ছাড়াই প্রতিপক্ষ সমর্থকদের ওপর হামলে পড়তে বেশ পছন্দ করেন। ফলে প্রায়ই গ্যালারিতে ঘটে মারপিটের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে কাতার বিশ্বকাপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে উচ্ছৃঙ্খল আর্জেন্টাইন ভক্তদের ভেন্যুতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বুয়েনস আইরেস সরকার।

বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে সমর্থকদের আবেগ থাকে কিছুটা বেশিই। তবে কিছু ভক্ত রয়েছেন যারা কারণ ছাড়াই প্রতিপক্ষ সমর্থকদের ওপর হামলে পড়তে বেশ পছন্দ করেন। ফলে প্রায়ই গ্যালারিতে ঘটে মারপিটের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে কাতার বিশ্বকাপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে উচ্ছৃঙ্খল আর্জেন্টাইন ভক্তদের ভেন্যুতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বুয়েনস আইরেস সরকার।

নিষিদ্ধ হওয়া ভক্তদের অনেকেই অবৈধ ঘোষিত সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর সদস্য। আবার কেউ কেউ আর্জেন্টিনার বিভিন্ন স্টেডিয়ামে খাদ্য গ্রহণ করে চম্পট দিয়েছিলেন বিল পরিশোধ না করেই। ফলে তাদেরকেও ভোগ করতে হবে কঠিন এই শাস্তি। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের স্থানীয় সরকার।

শহরের বিচার ও নিরাপত্তা মন্ত্রী মার্সেলো দি'আলেসান্দ্রো স্থানীয় একটি রেডিওতে বলেন, 'হিংস্ররা এখানেও আছে, কাতারেও আছে। আমরা চাই ফুটবলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও হিংস্রগুলোকে স্টেডিয়ামের বাইরে রাখতে। তাদেরকে বারাদের (আক্রমণাত্মক ভক্ত সংগঠন) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য, হিংস্র কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়ার জন্য, ত্রাপিতোসের (নিষিদ্ধ সড়ক ব্যবসা) মতো অবৈধ সমিতিতে থাকার জন্য ও (বিচ্ছেদ হওয়া পিতা-মাতার কাছ থেকে) নিজেদের রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ আদায়ের জন্য তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।'

নিষিদ্ধ ভক্তদের মধ্যে কুখ্যাত সমর্থক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত বারাব্রাভারা। কুখ্যাত হুলিগান ভক্তদের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে তাদের। আলেসান্দ্রো আরও জানিয়েছেন নিষিদ্ধ ৬০০০ ভক্তের মধ্যে ৩০০০ ভক্তই এই গোষ্ঠীর সদস্য। স্থানীয় লিগ ম্যাচগুলোতেও নিষিদ্ধ তাদের প্রবেশ।

এদিকে এবারের বিশ্বকাপের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়নি আয়োজক রাষ্ট্র কাতার। তাছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন দেশের বাছাইকৃত পুলিশ সদস্যদের মরুর দেশে পাঠানো হবে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য। কাতারি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন তারা।

Comments