বিশ্বকাপে সমকামীদের প্রতি কাতারের আইনের প্রতিবাদ জানাবেন ফুটবলাররা
আর কিছু দিন পরই কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযুদ্ধ। তবে ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার এই আসরের আগে বারবারই অংশগ্রহণকারী ইউরোপিয়ান দেশগুলোর ফুটবলার ও সমর্থকদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হচ্ছে আয়োজকরা। কাতারের আইনে সমকামীদের বৈধতা না দেওয়ায় বিশ্বকাপ চলাকালীন মাঠেই প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের ১০টি দল।
কঠোর ইসলামিক আইনে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সমকামীতা একেবারেই নিষিদ্ধ। কাতারের আইন অনুযায়ী সেখানে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মদ্যপানের ওপরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে দেশটিতে। বিলাসবহুল হোটেলের বারগুলোতেই কেবল রয়েছে মদ্যপান করার সুযোগ। এছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি আচরণ ও নানা মানবাধিকার ইস্যুতে বারবারই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে কাতার।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সমকামীদের প্রতি কাতারের আইনের প্রতিবাদস্বরূপ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনসহ ইউরোপের নয় দলের অধিনায়ক 'ওয়ান লাভ' আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নামবেন বিশ্বকাপে।
এরমধ্যেই ডেনমার্ক প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাদের ম্যাচের পোশাককে। সম্পূর্ণ কালো জার্সি ও প্যান্ট পড়ে বিশ্বকাপে মাঠে নামবেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনরা। আয়োজকদের মানবাধিকার রেকর্ডের প্রতি প্রতিবাদ জানাতেই ডেনমার্কের এমন উদ্যোগ।
অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল একটি ভিডিও বানিয়েছে, যেখানে তারা কাতারকে সমকামিতা বিষয়ে তাদের বর্তমান আইন বাতিলের তাগিদ দিয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ইস্যুতে আয়োজকদের অবহেলার জন্যও ভিডিওতে তাদের সমালোচনা করেছে সকারুরা। অনেক প্রবাসী শ্রমিকই অভিযোগ করেছিলেন নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তারা।
এদিকে ব্রিটিশ এলজিবিটি অধিকারকর্মী পিটার ট্যাচেল অভিযোগ করেন, কাতারের রাজধানী দোহায় প্রতিবাদ জানানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সড়কের পাশে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। যদিও গ্রেফতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্বকাপের আয়োজকরা। ফ্রান্সও জানাচ্ছে প্রতিবাদ, বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো জনবহুল জায়গাগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
Comments