জার্মানিতে খেলেই জার্মান-বধের টোটকা পেয়েছে জাপানিরা!

দুটি গোলের একটি পেলেন তাকুমা আসানো, অপরটি পেলেন রিতসু দোয়ান। দুই গোলদাতাই খেলেন জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে। একজন ফ্রেইবুর্কে, অপরজন বোহমে। এই দুই খেলোয়াড় কিনা আগের দিন স্তব্ধ করে দিল জার্মানিকে। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত জাপানই মাঠ ছাড়ল জয় নিয়ে।
বুধবার কাতারের আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের 'ই' গ্রুপের ম্যাচ জার্মানিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দেয় জাপান। অথচ ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ইকাই গুন্দোগানের পেনাল্টিতে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। ৭ মিনিট পর সে লিড ধরে রেখেছিল তারা। কিন্তু এরপর আট মিনিটের ঝড়ে দুটি গোল হজম করে উল্টো হার দেখতে হয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
আর জার্মানির এই হারের যেন দায় রয়েছে নিজেদেরই। শুধু গোলদাতা দুইজনই নয়, জাপানের এই দলে তাদের দেশের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা খেলোয়াড় রয়েছেন আটজন। ম্যাচ শেষে নিজেদের খেলোয়াড়দের এভাবে গড়ে তোলার জন্য জার্মানির অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন কোচ হাজিমে মোরিইয়াসু।
অথচ বছর চার আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুই গোলের লিড নিয়েও জিততে পারেনি জাপান। এবার ঠিক উল্টোটাই করল দলটি। সেই ম্যাচে প্রসঙ্গ উঠে আসে জাপানি কোচের কণ্ঠে, 'শেষ দিকে তারা (জার্মানি) পুরো শক্তি নিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অতীতে এরকম অবস্থায় হয়তো আমরা হেরে যেতাম। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা জার্মানি এবং ইউরোপে খেলছে, তারা সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছে, তাই আমরা লিড ধরে রাখতে পেরেছি।'
জার্মানির ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞ মোরিইয়াসু। কিন্তু মাঠে নামলে তখন কেবল তাদের ভাবনায় জয় থাকে বলেই জানান এ কোচ, 'এই লিগগুলো খেলোয়াড়দের বিকাশে অবদান রেখেছে। আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু যখন ম্যাচের সময় আসে, আমরা জয়ের জন্যই নামি।'
তবে ম্যাচটা ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েই খেলতে চেয়েছিলেন মোরিইয়াসু, 'আমরা আক্রমণাত্মক শুরু করতে চেয়েছিলাম, খেলায় আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জার্মানি খুব শক্তিশালী দল, তাই আমাদের অবিচল থেকে রক্ষণ সামলানো এবং সুযোগ কাজে লাগানোর দরকার ছিল।'
'আমাদের কৌশলে অনেক বিকল্প ছিল এবং আমরা অনেকরকম পরিস্থিতির কথাই বিবেচনা করেছিলাম। আমরা জানতাম যে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি, এমন কিছুর জন্যও পরিকল্পনা করেছিলাম, তার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম,' যোগ করেন এ কোচ।
Comments