ইকুয়েডর বনাম সেনেগাল: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ বাঁচামরার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে সেনেগালের জন্য। ইকুয়েডর বধ করলে নকআউটের টিকিট পাবে আলিউ সিসের শিষ্যরা। অন্যদিকে ইকুয়েডরের সামনেও সুযোগ দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেওয়ার। এক পয়েন্ট বেশি থাকায় আফ্রিকান প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে ল্যাতিন দলটি, তাই ড্র করলেই চলবে তাদের।

শেষ পর্যন্ত সমীকরণ কি দাঁড়ায় তা জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-

কখন?

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা

কোথায়?

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, আল রাইয়ান

নজরে থাকবেন যারা

বোলায়ে দিয়া, ফামারা দিদিইউরা আবারও ঝাঁপিয়ে পড়বেন নিজেদের উজাড় করে এমনটাই প্রত্যাশা থাকবে সেনেগাল সমর্থকদের। সেই সঙ্গে মাঝমাঠে ইদ্রিসা গে, নামপালিস মেন্ডিদের আবারও দেখাতে হবে দৃঢ়তা। রক্ষণে কালিদু কৌলুবালি ও ইউসুফ সাবালিরা ভালো করলে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের আশা আলোর মুখ দেখতেই পারে।

তিন গোল করে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে যৌথভাবে চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে আছেন ইকুয়েডরের এনার ভ্যালেন্সিয়া। আজ আরও একবাপ স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে তার দিকে চেয়ে থাকবে দল।

সম্ভাব্য লাইন আপ

সেনেগাল: (৪-৪-২): মেন্ডি (গোলরক্ষক), কৌলিবালি, দিয়ালো, ইসমাইল, সাবালি, মেন্ডি, গে, দিয়াত্তা, সার, দিদিইউ, দিয়া  

ইকুয়েডর: (৩-৪-২-১) গালিন্দেজ (গোলরক্ষক), পোরোজো, হিনকাপি, তরেস, প্রিসিয়াডো, এস্তুপিনান, ক্যাসেদো, সিফুয়েন্তেস, ভ্যালেন্সিয়া, প্লাতা, সারমিয়েন্তো।

প্রেডিকশন

শক্তির বিচারে সামান্য এগিয়ে সেনেগাল। তবে মরণ কামড় দিতে পারে ইকুয়েডরও। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি এক ম্যাচের আশা করাই যায়। তবে জয় পেতে হলে আক্রমণভাগের জ্বলে উঠার বিকল্প নেই দুই দলের জন্যই।

সম্ভাব্য স্কোর:

সেনেগাল ৩-১ ইকুয়েডর

অন্যান্য পরিসংখ্যান

১) সেনেগাল তো বটেই, আফ্রিকার কোনো দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে এটাই ইকুয়েডরের প্রথম ম্যাচ।

২) সেনেগাল দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর বিপক্ষে আগের দুই বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচেই জয়হীন। ২০২২ সালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র, ২০১৮ সালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ০-১ গোলে হারে দলটি।

৩) হার এড়াতে পারলেই ২০০৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে ইকুয়েডোর। এবং প্রথমবারের মতো অপরাজিত থেকে।

৪) এনার ভ্যালেন্সিয়া ইকুয়েডরের হয়ে বিশ্বকাপে ছয়টি গোল করেছেন। লক্ষ্যে মাত্র নয়টি শট থেকে সেই ছয়টি গোল করেছেন তিনি।

৫) বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় একটি দেশের হয়ে টানা সাতটি গোলের রেকর্ডের সামনে ভ্যালেন্সিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

High inflation, costly loans force firms to cut spending

Some manufacturers say they are now opting to reduce office utility consumption, optimise office supplies, minimise bank dependence, and find alternative funding sources.

12h ago