আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

শেষের পথে বাংলাদেশের ইনিংস

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।

শেষের পথে বাংলাদেশের ইনিংস

বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড
ছবি: এএফপি

শুরুর ধাক্কার রেশই বয়ে চলল বাংলাদেশ। লিটন দাসের পর মুশফিকুর রহিমও ফিফটি করে ফিরলেন। এরপর তাওহিদ হৃদয় ও শেখ মেহেদী হাসানের ব্যাটে দেখা গেল না কোনো তাড়া। এই দুজনও বিদায় নেওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পথে রয়েছে টাইগাররা।

ধর্মশালায় মঙ্গলবার ভারত বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংলিশদের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৪২ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৯৮ রান। ক্রিজে আছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। জয়ের জন্য ৪৮ বলে আরও ১৬৭ রান দরকার তাদের। এই সমীকরণ মেলানো অসম্ভবই বলা চলে।

৬১ বলে ফিফটির স্বাদ পান অভিজ্ঞ মুশফিক। হৃদয়ের সঙ্গে তার ৪৩ রানের জুটির ইতি ঘটে এর পরপরই। আক্রমণে ফেরা রিস টপলির বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় থার্ডম্যানে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তার ৬৪ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসার ক্রিস ওকসকে টানা তিনটি মারেন লিটন। তবে এই আনন্দের ব্যাপ্তি স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। পরের ওভারেই বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেন একাদশে ফেরা বাঁহাতি পেসার রিস টপলি।

জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠিকমতো খেলতে ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে জনি বেয়ারস্টোর হাতে। ২ বলে তার রান ১। পরের বলেই বড় শিকারের উল্লাসে মাতে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ড্রাইভ করার চেষ্টায় লিয়াম লিভিংস্টোনের তালুবন্দি হন নাজমুল হোসেন শান্ত। গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ জোটে তার।

১৪ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর প্রয়োজন ছিল প্রতিরোধ গড়ার। কিন্তু সপ্তম ওভারে সাকিব আল হাসান বোল্ড হন টপলির অসাধারণ একটি ডেলিভারিতে। অফ স্টাম্পে পিচ করে সোজা যাওয়া বল বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট এড়িয়ে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ৯ বলে ১ রান করেন সাকিব।

বিপদ আরও বাড়িয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ওকসের বলে ইংলিশ দলনেতা ও উইকেটরক্ষক জস বাটলারের গ্লাভসে ক্যাচ দেন তিনি। আগের ম্যাচে তিনে খেলা মিরাজ এদিন পাঁচে নেমে ৭ বলে ৮ রান করেন। ফলে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

রানের খোঁজে থাকা লিটন ভাঙেন ব্যর্থতার বৃত্ত। তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ফিফটি তুলে নেন। সাজিয়ে বসেন বাহারি সব শটের পসরা। প্রতিরোধ লড়াইয়ে তার সঙ্গী হন অভিজ্ঞ মুশফিক। তবে সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে থামতে হয় লিটনকে।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি, বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্বিতীয়। দৃঢ়তা দেখানো মুশফিকের সঙ্গে তার জুটির রান পঞ্চাশ ছাড়ায় ৫৮ বলে। দুই তারকার কল্যাণে ১১ থেকে ২০- এই ১০ ওভারে কোনো উইকেট পড়েনি বাংলাদেশের।

২১তম ওভারের শেষ বলে থামতে হয় লিটনকে। আক্রমণে ফেরা ওকসের অফ কাটারে পরাস্ত হন তিনি। ক্যাচ চলে যায় উইকেটের পেছনে থাকা জস বাটলারের গ্লাভসে। ৬৬ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় লিটনের রান ৭৬। তার বিদায়ে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ৭৫ বলে ৭২ রানের জুটি। বিপদ আরও ঘনীভূত হয় বাংলাদেশের।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রানের বিরাট পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড। এতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ পেয়েছে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সেটা অনেক দূরের পথ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

KMP headquarters surrounded, gate locked over SI Sukanta's release

The protest programme will continue until SI Sukanta is arrested, said the demonstrators

15m ago