ডি ককের কারিশমায় দক্ষিণ আফ্রিকার বড় সংগ্রহ

কুইন্টন ডি কক যেন পণ করেছেন, এই বিশ্বকাপটা রাঙিয়ে দিয়েই শেষ করবেন। চলতি বিশ্বকাপেই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। তার আগে ব্যাট হাতে কারিশমা দেখাচ্ছেন কী দুর্দান্তভাবে! বিশ্বকাপ শুরু করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে, এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসেও সেঞ্চুরি। তার ১০৯ রানের ইনিংসের সাথে মার্করামও পেয়েছেন ফিফটি, ক্লাসেন-ডুসেনদের ক্যামিওতে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছে ৩১১ রানের পুঁজি।
লখনউয়ে নতুন পিচ তৈরি করা হয়েছে। পিচ কেমন আচরণ করবে, নিশ্চিত নন বলে টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন কামিন্স। স্টার্ক-হ্যাজলউডের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দেখেশুনে খেলতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম চার ওভারে ডি কক ও বাভুমা আনতে পারেন ১১ রান। বেশিক্ষণ খোলসে থাকার পাত্র নয় ডি কক। বাঁহাতি এই ব্যাটার হাত খুলতে শুরু করেন এরপর। কাট-পুলে বাউন্ডারি বের করেন, তবে ম্যাক্সওয়েলের কিপটে বোলিংয়ে তারা পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রানের বেশি আনতে পারেনি।
অপর প্রান্তে বাভুমা তখন বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। দশ ওভার শেষে ককের রান যেখানে ৩৩ বলে ৩০, বাভুমা ছিলেন ২৭ বলে ১৭ রানে। ততক্ষণে দুবার জীবনও পেয়ে গেছেন বাভুমা। কামিন্সের বলে আকাশে বল তুললে জ্যাম্পা থার্ডম্যানে বলের নিচে যেতে গড়বড় বাধিয়ে ফেলেন, আরেকবার জ্যাম্পারই বলে কিপার ইংলিশ বল গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। বাভুমা পরে জীবন পেয়েছেন আরেকটিও, স্টইনিসের বলে বাউন্ডারিতে বদলি ফিল্ডার শন এবট ক্যাচ নিয়েছিলেন, কিন্ত বাউন্ডারি পেরিয়ে যাচ্ছেন বলে বল ছুড়ে দিতে গিয়ে বেশি দূরেই দিয়েছিলেন। তবে বাভুমার ইনিংস দীর্ঘায়িত হয়নি বেশি। ৫৫ বলে দুই চারে ৩৫ রানের সংগ্রামী ইনিংস থেমে যায় ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে।
ডি কক ততক্ষণে ফিফটি পেরিয়ে গেছেন। ডুসেন-ডি কক জুটিতে কিছু সময়ের জন্য চাপ তৈরি করতে পারলেও ডি কক তা উড়িয়ে দেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। ২৭তম ওভারেই দেড়শ পেরিয়ে যায় তারা। আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করা ডি কক এ ম্যাচেও শতকের দেখা পেয়ে যান ৯০ বলে। তবে ডুসেন ২৮ রানের বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৫৮ রানে তাকে হারানোর পর ডি ককও তার ইনিংসটা আর বড় করতে পারেননি, ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৫ বলে ১০৯ রানে তার ইনিংস থেমে যায়।
২৩২ রানে থেকে শেষ দশ ওভারে প্রবেশ করে তারা। মার্করাম ভয়ঙ্কর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ৫৬ রানেই যদিও থেমে যান। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনফর্ম বিধ্বংসী ব্যাটার ক্লাসেনও আউট হয়ে যান ২৯ রানে। দুর্দান্ত দুই স্লোয়ার বাউন্সারে অস্ট্রেলিয়া ফিরিয়ে দেয় এই দুজনকে। মিলার-ইয়ানসেনরাও বড় অবদান রাখতে পারেননি। শেষ দশ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ডেথে দুর্দান্ত বোলিং করা স্টার্ক ম্যাচ শেষ করেন ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে দুই উইকেটে। শেষ ৬০ বলে ৭৯ রান এনে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১১ রানের পুঁজি গড়তে পারে। যা লখনৌর মাঠে সর্বোচ্চ স্কোর।
Comments