আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

আর্থারের 'আইসিসির নয়, বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট' মন্তব্যের সমালোচনায় ওয়াসিম-মঈন

খেলার বাইরের বিষয় নিয়ে পাকিস্তান টিম ডিরেক্টর আর্থারের মন্তব্যে বেজায় চটেছেন ওয়াসিম আকরাম, মঈন খানরা।

আর্থারের 'আইসিসির নয়, বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট' মন্তব্যের সমালোচনায় ওয়াসিম-মঈন

খেলার বাইরের বিষয় নিয়ে পাকিস্তান টিম ডিরেক্টর আর্থারের মন্তব্যে বেজায় চটেছেন ওয়াসিম আকরাম, মঈন খানরা।
ভারত বনাম পাকিস্তান
ছবি: সম্পাদিত

আহমেদাবাদে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখে সেটাকে আইসিসির নয়, বরং বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট মনে হয়েছে মিকি আর্থারের। তিনি বলেছেন, ভারতের মাঠে শুধু তাদের গানই চলেছে, 'দিল দিল পাকিস্তান' বাজানো হয়নি। খেলার বাইরের বিষয় নিয়ে পাকিস্তান টিম ডিরেক্টর আর্থারের এমন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন ওয়াসিম আকরাম, মঈন খানরা।

আর্থার কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, শনিবারের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলা তার কথার পুরোটা জানলে ধারণা পাওয়া যাবে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বহুল প্রতীক্ষিত দ্বৈরথে স্বাগতিকদের দর্শক সুবিধা পাওয়ার প্রশ্নে আর্থারের জবাব ছিল, 'সত্যি বলতে কী, এটি দেখে ঠিক আইসিসির ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ। মনে হয়েছে, বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট। আজ রাতে লাউড স্পিকারে "দিল দিল পাকিস্তান" খুব একটা শুনিনি। (ম্যাচে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে) এটির ভূমিকা থাকলেও অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না।'

আর্থারের এই মন্তব্য করেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের কাছে পাকিস্তানের আরেকটি হারের পর। ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর পর নাটকীয় ধসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় এক লাখের বেশি দর্শকের সামনে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত।

ধরাশায়ী হওয়ার পর খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন কিছু নিয়ে আলাপ ওঠা ভালো লাগেনি পাকিস্তানের সাবেক তারকাদের। আর্থারের উদ্দেশ্যে কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম বলেছেন, 'ভাইয়া, আমাদের এটা বলুন যে, আপনারা কী পরিকল্পনা করেছিলেন, কুলদীপ যাদবকে কীভাবে খেলতে হবে। এসব আমরা শুনতে চাই। এলোমেলো কথাবার্তা না।'

'আপনি যদি মনে করে থাকেন, এসব বলে পার পেয়ে যাবেন, তাহলে দু:খিত। সেটি হচ্ছে না। ম্যাচে হার-জিত থাকেই। তবে আমরা জানতে চাই পরিকল্পনা কেমন ছিল, ওসব ব্যাপারে।'

পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে আকরামের সঙ্গে ছিলেন মঈনও। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক বিষয়টিকে দেখেছেন একই চোখে, '(আর্থার সবার) মনোযোগ ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। এত লোকের মন খারাপ হয়েছে ম্যাচ হেরে, হতাশ সবাই। আর আপনি তাদের আবেগী করে তুলছেন অন্যদিকে নিয়ে গিয়ে। পেশাগতভাবে যে কাজটা আপনার, সেটি নিয়েই আলোচনা করা উচিত।'

আইসিসির ইভেন্টে এরকম হওয়া উচিত নয় মানলেও মঈন মনে করছেন, 'হ্যাঁ, ঠিক আছে। আইসিসি ইভেন্টে এরকম হওয়া উচিত নয়। তবে কোচ (মূলত টিম ডিরেক্টর) হিসেবে এসব কথা বলা তার উচিত না।'

নিজেদের মাটিতে ইভেন্ট হলে যে কোনো ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই চাইবে তার সুবিধা আদায় করে নিতে। ভারতও হাঁটছে একই পথে। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরিস্থিতি দেখছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক, 'আমাদের উল্টো তাদের (ভারতের) প্রশংসা করা উচিত। আমরা শিক্ষা নিতে পারি। যদি এমনটাই হয়ে থাকে (কেবল ভারতীয় গানই বাজানো হয়েছে), তাহলে আমাদের এখানে আইসিসি ইভেন্ট হলে আমরাও সেটা কাজে লাগাতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago