দিশা হারিয়ে ২০৯ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কা যে শুরু পেয়েছিল, এরপর যেভাবে তারা শেষ করেছে, তা নিয়ে আফসোসের অন্ত থাকে না। ওপেনিং জুটিতেই একশ রান পেরিয়ে গিয়ে ১২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকেই লঙ্কানরা উইকেট হারানোর মিছিলে শেষ নয় উইকেট হারায় ৮৪ রানে। জ্যাম্পার চার উইকেটের সাথে কামিন্স-স্টার্কের দুটি করে উইকেটে ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
অথচ শ্রীলঙ্কার ওপেনিংয়ের একপাশে দুশ্চিন্তার ছায়া ছিল। তবে লখনউয়ে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর দুর্দান্ত শুরু পায় লঙ্কানরা। কুসল পেরেরা ও পাথুম নিসাঙ্কা, অজিরা সামান্য লাইনে হেরফের করলেই দুজনে বাউন্ডারি খুঁজে নিয়েছেন। ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ছয় ম্যাচ পর ওপেনিংয়ে ফিফটি পায় তারা।
পাওয়ারপ্লের পর অস্ট্রেলিয়ানরা লাইনে গড়বড় করে বাউন্ডারির সুযোগ দেয় আরও, লঙ্কানদের রানের গতি বেড়ে যায় তাই। এরপর ফর্মের খোঁজে থাকা জ্যাম্পা এদিনও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভুগে তিন ওভারে দিয়ে দেন ২২ রান। পেরেরা ও পাথুম সমানতালে খেলে যাচ্ছিলেন। ১৮তম ওভারে একশ ছাড়িয়ে যায় লঙ্কানরা।
পরের ওভারে ৫৭ বলে নিজের ফিফটি করে ফেলেন পেরেরা, নিসাঙ্কাও কিছুক্ষণ পর তার ফিফটির দেখা পান ৫৮ বলে। ফিফটির পর সুযোগ পেলে পেরেরা বড় শট খেলতে দ্বিধাবোধ করেননি একটুও। অজিদের রিভিউ না নেওয়ার আফসোস বাড়াচ্ছিলেন, দশম ওভারে ম্যাক্সওয়েলের বলে রিভিউ না নিয়ে পরে রিপ্লেতে দেখা যায় এলবিডাব্লিউ ছিলেন পেরেরা।
তবে নিসাঙ্কার সঙ্গ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ৬১ রানে নিসাঙ্কাকে কামিন্স ফিরিয়ে দিলে ১২৫ রানের জুটি ভেঙ্গে যায় তাদের। এরপর আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলা কুসল পেরেরা সেঞ্চুরির সুবাসই পাচ্ছিলেন। কিন্তু হুট করে কামিন্সের লেংথ ডেলিভারীতে বোল্ড হয়ে যান ৭৮ রানে। ১৫৭ রানে দুই উইকেট হারানো লঙ্কানরা বড় স্কোরের পথ হারিয়ে ফেলে এরপর।
জ্যাম্পাকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন কুসল মেন্ডিস। আর সামারাবিক্রমা এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে জ্যাম্পা এ দুজনকেই এক অঙ্কে ফিরিয়ে দিলে ১৬৬ রানেই ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। আসালাঙ্কা ও ধনঞ্জয়ার পুনরুদ্ধার কাজে পরে বাগড়া বাধায় বৃষ্টি।
মাঝখানের বিরতিও ৩২.১ ওভারে ১৭৮ রানে থাকা লঙ্কানদের উইকেটের মিছিলে বিরতি আনেনি। ধনানঞ্জয়া ইনসাইডে এজে বোল্ড হয়ে যান। বিপদ বাড়িয়ে দেন ভেলালাগে রানআউট হয়ে। করুনারত্নের পর থিকশানাও চলে যান দুইশ পেরুনোর আগেই। একপাশে একা হয়ে যাওয়া আসালাঙ্কাও শেষমেশ ২৫ রানে যখন উইকেট দেন, শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে যায় ৩৯ বল বাকি থাকতেই।
Comments