‘ওয়াচ, ওয়াচ’, বড় শটের মহড়ায় মাঠ গরম শান্ত-মুশফিকদের

পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামের আকার এই বিশ্বকাপের বাকি ভেন্যুগুলোর মধ্যে বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই তুলনা করা যাবে। বেঙ্গালুরুর বাউন্ডারি বড় নাকি পুনের, এই তর্কও চলতে পারে। ছোট বাউন্ডারির এই মাঠের উইকেটও ব্যাট করার জন্য আদর্শ। এমন স্বর্গ পেয়ে অনুশীলনে উত্তাল হয়ে উঠল মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাট।
পুনের মাঠের আউটার স্টেডিয়ামসহ অনেক কিছুই এখনো নির্মাণাধীন। অনুশীলন নেট তাই দেওয়া হয়েছে মূল মাঠের ভেতর। সেন্টার উইকেটে ম্যাচের আগে অনুশীলনের সুযোগ এখানে পাচ্ছে সব দল।

বাংলাদেশ দল দুপুর ২টায় এখানে শুরু করে নিজেদের অনুশীলন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টানা অনুশীলনে চার নেট ঘুরে ব্যাট করেছেন প্রায় সবাই। বলা ভালো কয়েকজন ব্যাটার ব্যস্ত ছিলেন ছক্কা পেটানোর মহড়ায়।
বাংলাদেশ দলের নেটের বরাবর গ্যালারিতে অনুশীলন দেখার সুযোগ দেওয়া হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। পুরোটা সময় তাদের থাকতে হয়েছে তটস্থ। সেখানে উপস্থিতি ব্রডকাস্টার ও নিরাপত্তাকর্মীদেরও সজাগ দৃষ্টি দিতে হয়েছে বলের দিকে। শান্ত বেশিরভাগই শটই খেলছিলেন স্লগ সুইপের মতোন। বেশিরভাগই আশ্রয় নিচ্ছিলেন গ্যালারিতে।
মুশফিক আরেক নেটে চালাচ্ছিলেন তাণ্ডব। তার পুল, স্ট্রেট ড্রাইভ ঠিকানাও গ্যালারি। এদিন তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিমকে দেখা গেছে আগে নামতে।
এরপরই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস নামেন পাশাপাশি নেটে। তাদেরকে শুরুতে রয়েসয়েই খেলতে দেখা যায়। ইনসাইড আউট শটে লিটন কয়েকবার সীমানা পার করেন। সাকিবও বড় শট মেরেছেন কিছুটা সময় নিয়ে।
ধারণা করা যাচ্ছে মূল ম্যাচেও রান উৎসব হবে অবধারিত। তাতে ভারতকে ঠেক্কা দিতে হলে বিকল্প নেই বড় শটের।

ব্যাটারদের তেজের আড়ালে পড়ে যাচ্ছিলেন বোলাররা। তবে এদিন পেসারদের নিয়ে বেশ ব্যস্ত দেখা গেছে অ্যালান ডোনাল্ডকে। বিশ্বকাপে এবার তিন ম্যাচেই পেস আক্রমণ ছিল ধারহীন। গত দুই, আড়াই বছরের তাদের পারফরম্যান্সের প্রায় চূর্ণ হওয়ার দশা। ব্যাটিং স্বর্গে শুরুতে উইকেট ফেলার চাপ নিতে পারছেন না তাসকিন আহমেদরা। পাঁচ পেসার নিয়ে তাই আলাদা সভার মতন করেছেন তিনি। করণীয় বুঝিয়ে দেওয়ার পর সময়ে সময়ে এগিয়ে গিয়ে দিচ্ছিলেন তালিম। ম্যাচে সেটা কতটা কাজে লাগে এখন দেখবার বিষয়।
Comments