নেদারল্যান্ডসকে হারানোই তাসকিনদের কাছে যে কারণে ‘বড় জয়’
প্রতিপক্ষ হিসেবে নামেভারে বেশ পিছিয়ে নেদারল্যান্ডস। আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশটির বিপক্ষে খেলতে নেমে জেতাটা একদম প্রত্যাশিত কিংবা বলা যায় অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে টানা হার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ইতিহাস মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাওয়া জয়কেই অনেক বড় মনে হচ্ছে তাসকিন আহমেদের।
হোবার্টে সোমবার মেঘলা আকাশের নিচে ব্যাটারদের আড়ষ্টতায় ১৪৪ রানের বেশি করা যায়নি। ইনিংস বিরতিতে হয়ত চেপে বসেছিল শঙ্কার মেঘ। সেই মেঘ নেমে দূর করেন তাসকিনই। প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট, পরে নিয়েছেন আরও দুটি। ক্যারিয়ার সেরা বল করে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক তিনি।
২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা তাসকিন আসেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে নিজের পারফরমান্সের জয়ে ডাচদের বিপক্ষে পাওয়া জয়কে নিয়ে বেশি আলাপ করলেন এই পেসার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আরও ছয় আসর খেলেও মূল পর্বে আর আসেনি কোন জয়।
প্রতিপক্ষ ছোট হলেও তাই এই জয়ের মাহাত্ম বড় দেখছেন তাসকিন, 'স্বস্তির চেয়েও উদযাপন করা জরুরী। আমরা কখনই সুপার টেন/টুয়েলভে ম্যাচ জিতিনি। এটা আমাদের জন্য বড় জয়। এখন টি-টোয়েন্টিতে কোন দলকে ছোট করার উপায় নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কোয়ালিফাই রাউন্ডে বাদ পড়েছে। তাই এটা আমাদের জন্য বড় জয়। প্রত্যেকটা ম্যাচই যার সঙ্গে খেলি না , স্বপ্নটা জেতা। আমাদের দলের বন্ধনও ভালো।'
'জিততে পেরেছি এটাই সবচেয়ে শান্তির বিষয়। কারণ অনেকদিন ধরে জিততেই পারছিলাম না। এটাও আমাদের জন্য মানসিক অস্থিরতা ছিল আমাদের জন্য। সামনে যাতে বিশ্বকাপে আরও ম্যাচ আছে ওগুলাও জিততে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি ওটাই লক্ষ্য। মনের খুশিটাই বড়।'
জিতলেও আড়াল পড়ছে ব্যাটিংয়ের ঘাটতি। তাসকিনও স্বীকার করলেন অন্তত ১০-১৫ রান কম করেছিলেন তারা। তবে ঘুরে দাঁড়াতে পারাটাকেই আপাতত নিতে চান ইতিবাচক হিসেবে,, 'সহজ ছিল না, শেষ দিকে একটা জুটি সাহায্য করেছে। হয়ত ১০-১৫ রানের ঘাটতি ছিল। কিন্তু ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। সামনের ম্যাচগুলোতে যাতে আরও কম ভুল হয় সেই চেষ্টা করব।'
Comments