হারের জন্য বাজে ফিল্ডিংকেই দুষলেন রোহিত

শেষ পর্যন্ত লড়েও হারল ভারত। এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের তালিকায় যুক্ত হলো আরও একটি ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত লড়েও হারল ভারত। এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সহজ ক্যাচ ও রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া না করলে শেষ হাসি হাসতে পারত রোহিত শর্মার দলও। ম্যাচশেষে ভারত অধিনায়ক হারের জন্য তাই দুষলেন নিজেদের ফিল্ডিংকেই।

রোববার পার্থে সুপার টুয়েলভের দুই নম্বর গ্রুপের খেলায় ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। এরপর মার্করাম-মিলারের ফিফটিতে তা কাটিয়ে উঠে ২ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে তারা।

অল্প পুঁজি সত্ত্বেও বল হাতে জ্বলে ওঠা ভারতীয় বোলারদের যোগ্য সমর্থন দিতে পারেননি দলটির ফিল্ডাররা। সীমানার কাছে ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহলি। রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রোহিত নিজেই।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফিল্ডিংকে দায় দিয়ে ভারত অধিনায়ক বলেন, 'আমরা ফিল্ডিংয়ে যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। আমরা এই বিভাগে ধারাবাহিক হতে চাই। আমরা আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আমি ও আমরা কিছু রান আউট মিস করেছি।'

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেসময় অশ্বিনের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। ট্রিস্টান স্টাবস আউট হলেও মিলারের দুই ছক্কায় ওই ওভারেই মূলত জয়ের স্বপ্ন নাগালের বাইরে চলে যায় ভারতের।

তবে অশ্বিনকে বল দেওয়ার সেটাই সঠিক সময় ছিল বলে জানান রোহিত, 'আমি দেখেছি, শেষদিকে স্পিনারদের সঙ্গে কী ঘটে। তাই আমি আগেই অশ্বিনের কোটা শেষ করতে চেয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম, পেসাররা যাতে সঠিক ওভারগুলো পায়। নতুন ব্যাটার আসায় সেটাই অশ্বিনের বল করার সঠিক সময় ছিল।'

ম্যাচটিতে দুই প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডি ও ওয়েইন পারলেনেলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ভারতের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ। উইকেট থেকে বাড়তি পেস ও বাউন্স পান তারা। তবে কন্ডিশনের ঘাড়ে দোষ চাপাতে রাজি নন রোহিত, 'আমরা এমন কন্ডিশনে আগেও খেলেছি। তাই কন্ডিশন কোনো অজুহাত হতে পারে না।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago