ভারতের হারে আইপিএলের প্রভাব দেখছেন ওয়াসিম আকরাম
বেশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই লক্ষ্য মামুলী হয়ে যায় আলেক্স হেলস ও ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। পাত্তাই পায়নি রোহিত-কোহলিরা। এমন হারের পর অনেকেই কাঠগড়ায় তুলছেন আইপিএলকে। তুলেছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও। আইপিএলে খেলোয়াড়দের মানসিকতায় বড় প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন এ কিংবদন্তি পেসার।
ম্যাচ শেষে স্পোর্টসের প্যাভিলিয়ন শো-তে ওয়াসিম আকরাম বলেন, 'সবাই ভেবেছিল আইপিএল থেকে ভারত উপকৃত হবে। এই আসর ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল। এর আগে ২০০৭ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। কিন্তু যখন থেকে আইপিএল শুরু হয় তখন থেকে ভারত আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তাহলে বলাই যায় যে আইপিএল-এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় প্রভাব পড়েছে।'
শুধু ভারতের মাঠে একটি লিগ খেলার নেতিবাচক দিকটিও ব্যাখ্যা করেছেন এ সাবেক পাকিস্তানি, 'আইপিএলের কথা প্রসঙ্গে বলেছি, এশিয়া কাপে আমার ভারতীয় সতীর্থ, যাদের সঙ্গে আমিও কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম যে ভারতীয় ফাস্ট বোলাররা যারা আসে, যা আমি লক্ষ্য করেছি, উদাহরণ হিসাবে আবেশ খানের মতো একজন ফাস্ট বোলার রয়েছে। তিনি ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করতেন, তিনি ১৪০ এর বেশিতে ধারাবাহিকভাবে করতেন, কিন্তু এক মৌসুম পরে তিনি ১৩০-এ নেমে আসেন। এক মৌসুমেই গতি হারায় তারা।'
একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে বিদেশি লিগে ভারতীয়দের খেলতে বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও। কারণ হেলসের দানবীয় ইনিংসের পেছনে কিছুটা হলেও উপকৃত করেছে বিগব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা। আগের দিন ভারতের বিপক্ষে ৪৭ বলে খেলেন ৮৬ রানের ইনিংস। অ্যাডিলেড অভালের বিশাল বাউন্ডারিতে মেরেছেন ৭টি ছক্কা। আর বিগব্যাশের অভিজ্ঞতা যে তাকে সাহায্যে করেছে তা স্বীকার করেছেন ম্যাচ শেষেও।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আইপিএল ছাড়া দেশের বাইরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে দেওয়া হয় না ভারতীয় ক্রিকেটারদের। জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছাড়া তাই দেশের বাইরের কন্ডিশন সম্পর্কে জানার খুব একটা সুযোগ নেই তাদের। অভিজ্ঞতার অভাব তাদের তাড়িত করেছে বলেও মনে করেন আকরাম। আগের দিন ভারত সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি নিয়ে।
Comments