'সামর্থ্যের বিচারে সবচেয়ে কম সাফল্য পাওয়া দল ভারত'
দাপটের সঙ্গে সুপার টুয়েলভ পর্ব পার করে সেমিফাইনালে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি রোহিত শর্মার দল, তাদের দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ভারতীয় বোলাররা। এমন হারে একের পর এক সমালোচনার তীর ধেয়ে আসছে বিরাট কোহলিদের ওপর, সাবেক ইংল্যান্ড তারকা মাইকেল ভনতো বলেই বসলেন সাদা বলের ক্রিকেট ইতিহাসে সামর্থ্যের বিচারে সবচেয়ে কম সাফল্য পাওয়া দল ভারত।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রোহিত-কোহলিদের ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশরা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে ২৪ বল হাতে রেখেই বিনা উইকেটে ১৭০ রান তুলে ফেলে বাটলারের দল। ম্যাচটিতে পাওয়ারপ্লেতে ভারতের ব্যাটিং বেশ দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৮৬টি ওয়ানডে খেলা ভনের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে মতামত লিখেছেন তিনি। সেখানে ভন বলেছেন, 'ভারত সাদা বলের ইতিহাসে সামর্থ্যের তুলনায় সবচেয়ে কম পারফর্ম করা দল। বিশ্বের সব খেলোয়াড়রা আইপিএলে গিয়ে বলে সেটা কিভাবে তাদের খেলার উন্নতি করেছে কিন্তু ভারত কি কখনও কিছু করতে পেরেছে? যে পরিমাণ সুবিধা ভারতের আছে, তাদের আরও বেশি জেতা উচিত। তাদের স্কিলের বিবেচনায় তারা খুবই কম অর্জন করেছে।'
প্রতি বিশ্বকাপেই ভারতের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হলেও কেউ তাদের সমালোচনা করতে চায় না বলেও মন্তব্য করেছেন সাবেক এই ব্যাটার। তবে লোকেশ রাহুলদের খেলার ধরণকে ধুয়ে দিতে পিছপা হননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে ভন লিখেছেন, 'ভারত পুরনো সময়ের সাদা বলের ক্রিকেট খেলে চলেছে ও বছরের পর বছর ধরে এটা করে আসছে। যে প্রতিভা নিয়ে তারা যেভাবে টি-টোয়েন্টি খেলে তাতে আমি স্তব্ধ। তাদের খেলোয়াড় আছে কিন্তু প্রক্রিয়া ঠিক নেই।'
প্রতিপক্ষ বোলারদের শুরুতে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেওয়াটাকেও দুষছেন সাবেক ইংলিশ তারকা, 'তাদের এটার জন্য যেতে হবে (আক্রমণাত্মক হতে হবে)। কেন তারা প্রতিপক্ষ বোলারদের প্রথম পাঁচ ওভারেই সেট হতে দেবে?'
২০১১ সালে সর্বশেষ কোন বৈশ্বিক আসরের শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর প্রতি টুর্নামেন্টেই ফেবারিটের তকমা জড়িয়ে খেলতে গেলেও ধরা দেয়নি ট্রফি। এবারও সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটিংলাইন আপ নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা।
Comments