অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আগামী পাঁচ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই যোদ্ধারা।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র আন্দোলনের পথ ধরে এই ঘোষণাপত্র এসেছে। সেটার বৈধতা আমরা সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেব।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত না হলে এনসিপি জুলাই সনদে সমর্থন দেবে না বলেও জানান তিনি।
জুলাই-অগাস্টে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ দুইটাই দেওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ বলেন, আমরা আরও ২ মাস অপেক্ষা করতে চাই এবং সরকারকে সময় দিতে চাই।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং প্রত্যাশা ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী কথা বলবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেব।
তিনি বলেন, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনাটি ঘোষণা হবে বা প্রণীত হবে।
ঘোষণাপত্র নিয়ে শিগগির কিছু অগ্রগতি দেখা যাবে বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শহীদ মিনারে 'মার্চ ফর ইউনিটি' কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।