সাম্য হত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে দায়ী করে ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে ছাত্রদল।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি জানিয়েছেন।
হত্যার ঘটনায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আজ বিকেলে সমাবেশ করবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার পর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং নিয়মিত মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান...
গতরাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়ে ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল ইউনিটের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য মারা যান।
বৃহস্পতিবার থেকে চাকরিপ্রত্যাশীদের কয়েকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এই ঘোষণার পর তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী শাহবাগ মোড় অবস্থান নিলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একই দাবিতে কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন।
বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজেও সাহায্য করতে দেখা গেছে কিকোকে।
শিক্ষকেরা যদি সারাক্ষণ বলতে থাকেন যে, ‘তারা হচ্ছেন জাতির বিবেক’; তাহলে সেটি তাদের পাণ্ডিত্য সততা, নৈতিকতা, আচরণ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রমাণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও হোস্টেলে ওঠানো হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যা ঘটলো তাতে আমরা স্তব্ধ। আমরা কোনো হত্যার বিচার চাই না, কার কাছে চাইব?
রাত ৯টা পর্যন্ত পাওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী ঢাবি ক্যাম্পাস পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই তরুণের ফোন চেক করার পর তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন এবং টেনেহিঁচড়ে পুলিশ স্টেশন প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়।
হামলার ছবি ছড়িয়ে গেলে স্থানীয়রা সেটি শেয়ার করে সমালোচনা করেছেন।
‘কোনদিকে দৌড়াচ্ছি জানি না। সবাই যেদিক যাচ্ছে সেদিকেই যাচ্ছি। পেছনে একটা মেয়ে পড়ে যায়। ছাত্রলীগের ছেলেরা ওকে মাটিতে ফেলেই মারতে থাকে লাঠি দিয়ে। আমি আরও কয়েকজনের সঙ্গে কোনোমতে এসএম হলে ঢুকে যাই।’
‘আজকে যদি হেরে যাই, যদি প্রতিরোধ করতে না পারি, আর কোনোদিন পারব না।’
পুরো এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।