জানিয়েছেন আবহাওয়া অদিধপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
‘এপ্রিল এমনিতেই উষ্ণতম মাস। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে, বৃষ্টি না হলেই তাপমাত্রা বেড়ে যায়।’
দেশের পাঁচটি জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপদাহ।
সিলেট ও যশোর জেলা এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ মাসে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও তাপদাহ এবং স্বল্প মেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বছর প্রবল তাপের কারণে হজযাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কর্মকর্তারা পূর্বাভাষ দিয়েছেন, সৌদি আরবের এই উষ্ণ গ্রীষ্মে দিনের গড় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে।
যেহেতু আবহাওয়া বা তাপমাত্রা—কোনোটিই আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই, তাই কিছু বিষয় মানার মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদে রাখা সম্ভব।
গত কয়েকদিন তীব্র তাপদাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দিল্লি রাজ্য। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই কয়দিন ৫০ এর আশেপাশেই থেকেছে, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে।
সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারতের রাজধানীতে আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৬ দশমিক এক ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
তীব্র গরমে এসির চাহিদা অনেক বেড়েছে। তাই টেকনিশিয়ানরা সময়মতো কাজ করে দিতে পারছেন না।
২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
‘আমাদের ১১টি বস্তি আছে, চিফ হিট অফিসার আমাকে গতকাল বলেছেন, এই মুহূর্তে বস্তিবাসীদের আরাম দেওয়া দরকার।’
‘রাজধানীর তাপ শুষে নিতে গাছপালা ও জলাশয় বেশি থাকা দরকার। তা না হলে তাপ বাড়তেই থাকবে।’
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
তীব্র গরমে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর হিসেবে যারা কাজ করেন।
বাইরে তীব্র গরম থাকলেও মাটির ঘরের ভেতরটা তুলনামূলক ঠান্ডা থাকে। এমনকি মাটির ঘরে ফ্যান ছাড়া থকতেও তেমন অস্বস্তি হয় না।
গত এপ্রিল মাসে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। ১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ওয়াসার পানির ট্রাক থেকে পানি সংগ্রহ করে তাই দিয়ে সংকট সামলানো হচ্ছে বলে জানান অনেকে