যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এমনকি চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাসহ অধিকাংশ দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও বাংলাদেশের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) বেড়েই চলেছে।
কিন্তু বছরব্যাপী দেশের প্রায় সব অর্থনৈতিক সূচক নিম্নমুখী ছিল। ফলে অর্থনীতি আশা অনুযায়ী ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে আট শতাংশ করেছে। এ নিয়ে এ বছরে দ্বিতীয়বার সুদহার বাড়ানো হলো।
ক্রলিং পেগ হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি।
গতকাল এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘আমরা শিগগিরই পুরোপুরি বাজারভিত্তিক সুদহারের দিকে যাচ্ছি, যা ব্যাংকগুলোকে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণে সহায়তা...
‘পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে রাজস্ব নীতিগুলোর সমন্বয় করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, বিনিময় হারের এই ধাক্কায় কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত প্রভিশন নিতে বাধ্য হয়েছে এবং করপোরেট খাতের মুনাফা কমেছে।
মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা কমাতে ব্যাংকগুলো গত কয়েক মাস ধরে ডলারের যে বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে, সেই তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের দাম অনেক বেশি।
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে মার্কিন ডলার বিক্রির সময় ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি পাবে না ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমেছে। প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার এখন ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার অভিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।