বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ডিসিসিআই সভাপতি

‘পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে রাজস্ব নীতিগুলোর সমন্বয় করা প্রয়োজন।’
sameer-sattar
সামীর সাত্তার। ছবি: সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে যেকোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

সোমবার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।

সামীর সাত্তার বলেন, ভূ-অর্থনৈতিক সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক উন্নয়নশীল অর্থনীতির চেয়ে বেশ ভালো অবস্থানে আছে। যদিও মুডিস'স ইনভেস্টর সার্ভিস বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং এবং দেশের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, তারপরেও ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনকে সামনে রেখে অর্থনীতিতে গতি আনতে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন। মূল্যস্ফীতির কারণে আমাদের অর্থনীতি বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এবং যেকোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা একান্ত আবশ্যক। পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে রাজস্ব নীতিগুলোর সমন্বয় করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। এ ব্যাপারে যথাযথ ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও, সরকারকে অবশ্যই রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে করে আমাদের প্রথাগত বাজার ও গতানুগতিক প্রথাগত পণ্যের বাইরেও সম্ভাবনাময় একাধিক বাজারে ভিন্ন ভিন্ন নতুন পণ্য রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধি করা যায়।

ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব আহরণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা উচিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে কর অফিস খোলা এবং কর অফিসের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য একটি যথাযথ ম্যাপিং প্রয়োজন। রাজস্ব বাড়াতে অনানুষ্ঠানিক খাতকে যথাযথভাবে করের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম নিশ্চিত করতে রাজস্ব বোর্ডের জনশক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্পূর্ণ অটোমেশনের মাধ্যমে করজাল বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়াও, ক্রমবর্ধমান মন্দঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং খাতে কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন ডিসিসিআই সভাপতি। একইসঙ্গে তিনি অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও নতুন সুযোগ সৃষ্টির ব্যাপারে আর্থিক খাতকে মসৃণভাবে চলার পথ সুগম করার ওপর জোরারোপ করেন।

Comments