বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১ হাজার ২৩০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।
কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত এই স্বাস্থ্যকর্মীরা আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন।
এসময় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ৭ নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো-
বকেয়া পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চার ঘণ্টা পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তারা জানুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছেন না এবং চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
আজ রোববার ঢাকার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রবেশমুখ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন তিন শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই বর্ষায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
গত পরশু থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মোট ১ হাজার ৩০ জন মারা গেলেন।
ঢাকায় ১২ জন ও ঢাকার বাইরে ৬ জন মারা গেছেন।
দেশের সব সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অনলাইন সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৬৭১ জন মারা গেলেন। এর মধ্যে ৪৮৬ জন ঢাকার।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৬৫৭ জন মারা গেলেন।
ডেঙ্গুতে গতকাল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৫৬৯ জন মারা গেলেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৫১৪ জন মারা গেলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৬ জন ঢাকার বাইরের।
এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯৯ হাজার ৯৯৪ জন।