‘ভবিষ্যতের শহর কেমন হবে, তা ভাবার এখনই সময়’

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মাইকেল কেইথ বলেছেন, এশিয়ার মহানগরগুলোর চরিত্র ইউরোপ বা আমেরিকার তুলনায় ভিন্ন। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। এ শহরগুলো দিন দিন বড় হয়ে উঠছে এবং জনসংখ্যার চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।'
কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মাইকেল কেইথ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মাইকেল কেইথ বলেছেন, এশিয়ার মহানগরগুলোর চরিত্র ইউরোপ বা আমেরিকার তুলনায় ভিন্ন। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। এ শহরগুলো দিন দিন বড় হয়ে উঠছে এবং জনসংখ্যার চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।'

তিনি বলেছেন, 'কয়েক বছরে এসব শহরের বেশ কয়েকটিতে জনসংখ্যা মিলিয়নের বেশি ছাড়িয়ে যাবে। একইসঙ্গে বাড়ছে বায়ু দূষণ, বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে পরিবেশ। জলাবদ্ধতা বা বন্যার মতো সমস্যাও বাড়ছে।'

'এ অবস্থায় এই শহরগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠতে হবে এবং এ অঞ্চলে ভবিষ্যতের শহর কেমন হবে, তা নিয়ে ভাববার এখনই সময়,' বলেন ড. মাইকেল কেইথ।

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ইংরেজি বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রথম দিনে আজ বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।

আজ বুধবার সকালে 'অসমোসিস-ইন্টারডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচেস ইন হিউম্যান সায়েন্সেস' শীর্ষক এই কনফারেন্সের উদ্বোধন হয়। 

এতে প্রধান আলোচক হিসেবে নাগরিক ও জাতিগত সমস্যা, শরণার্থী সংকট এবং নগর ব্যবস্থাপনা বিষয়ের আন্তর্জাতিক প্রসিদ্ধ গবেষক ড. কেইথ বলেন, 'নৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের নাগরিক বিভিন্ন সমস্যাকে নতুন করে দেখার প্রয়োজন। জাতি ও বর্ণ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নতুন সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছ।'

'জাতিগত পরিচয়ের আবহমান মাপকাঠিগুলো ক্রমশ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে এ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে, এতদিনের নির্ধারিত মানদণ্ডগুলো নিয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি সাধারণের পর্যায়েও ভাবতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, 'গবেষণাই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির মূল ফোকাস। এ ক্ষেত্রে ইডিইউর আগ্রহ ও অবদান উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে নতুন করে প্রকাশিত হবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে।'

ইডিইউ উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, 'কোনো একটি বিষয়কে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা ও ধারার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন করার মধ্য দিয়েই গবেষণার প্রথম ধাপ সূচিত হয়। বিভিন্ন সম্মেলনে সর্বজনবিদিত পণ্ডিত ও গবেষকদের উপস্থাপিত প্রবন্ধ থেকে নবীনরা এ পথে এগিয়ে যাবার পাথেয় খুঁজে পায়। ইডিইউর এই সম্মেলন আয়োজন বাংলাদেশের গবেষণা অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।'

স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে ইডিইউর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনের প্লেনারি সেশনের স্পিকার ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম।

Comments