চবি চারুকলার প্রধান ফটকে আবারও শিক্ষার্থীদের তালা

দাবি পূরণে ৭ দিনেও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে আবারও তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ছবি: সংগৃহীত

দাবি পূরণে ৭ দিনেও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে আবারও তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন এবং প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জহির রায়হান অভি জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুফিয়া বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,  "শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়৷ কারণ সরকারের বাজেটের ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া, বাকি সব দাবি এখন প্রক্রিয়াধীন৷"

তিনি নিজে উপাচার্যকে সব দাবির বিষয় জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান সুফিয়া বেগম।

'কাজ চলমান কিন্তু শিক্ষার্থীরা আবারও কেন অবরোধে গেল বুঝতে পারছি না,' বলেন তিনি৷

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরসহ ২২ দফা দাবিতে গত বছরের ২ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে৷

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু; ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি; বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা; বেসিনের সুব্যবস্থা রাখা; পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ; আর্ট ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবস্থা; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা; পাঠাগার সংস্কার; জেনারেটরের ব্যবস্থা; মেডিকেল ব্যাকআপ; খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থা; মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা; অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল; প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন; শিক্ষার্থীদের জন্য মিলনায়তনের ব্যবস্থা; সেমিনারের পরিধি বাড়ানো; ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ; ওজু ও নামাজের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা; সন্ধ্যার পরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা; প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা করা।

প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আল্টিমেটাম দিয়ে ক্লাসে ফেরে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে, নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন। তাদের মধ্যে ১৭৯ জন নারী শিক্ষার্থী ও ১৭৪ জন পুরুষ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

Comments